[ad_1]
চিন যে শুধু ভারতকে (India) অনুকরণ করে তাই ই নয় ভারতকে সমস্যায় ফেলার কোনো সুযোগই চিন ছাড়ে না। সাম্প্রতিক ঘটনানুজায়ী রাশিয়া, আমেরিকা ও ইউক্রেনের বিবাদ চরমে পৌঁছেছে। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রণ এক আলোচনা সভায় বসেছিলেন যা একেবারেই নিস্ফল। যেখানে পুতিন পুনরায় তার পুরনো দাবী পেশ করেন যে ইউক্রেনকে কোনোদিনই NATO তে অন্তর্গত করা যাবে না এই কথাটির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হোক এবং পশ্চিম ইউরোপীয় দেশে এন এ টি ও সৈনিকদের জমায়েতটিকেও কম করা হোক।
ভ্লাদিমির পুতিনের এই দাবী ইউরোপের কোনো দেশই মেনে নেয় নি। এর ফলে উত্তেজনা বজায় রয়েছে। রুশ – ইউক্রেনের এই ঝামেলায় বিগত দু – তিন সপ্তাহ ধরে চিন চুপ থাকার পর ভারতকে চাপে ফেলতে চিন খোলাখুলি ভাবে রাশিয়ার সমর্থনে এগিয়ে আসে। চিন রাশিয়ার সমর্থনে অনেক বক্তব্যও পেশ করে। শুধু তাই নয় প্রয়োজন হলে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদেও চিন সম্পূর্ণ সমর্থন করবে রাশিয়ার। এই পুরো বিবাদে রাশিয়া ও আমেরিকা উভয় পক্ষই ভারতের সম্পূর্ণ সমর্থন চায়। একদিকে যেমন আমেরিকা চাইছে ভারত ইউক্রেনের ও আমেরিকার পক্ষে বয়ান দিক ; অন্যদিকে রাশিয়াও চাইছে এই সময় ভারত যেনো রাশিয়াকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে। যদিও ভারত এখনো পর্যন্ত নিরপেক্ষ রয়েছে।
চীন করল রাশিয়ার সমর্থন
ভারতের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সুযোগ নিয়ে চিন রাশিয়ায় সম্পূর্ণ সমর্থন করেছ যার ফলে রাশিয়ারও সমর্থন চিন পাবে। ভবিষ্যতে চিন ও ভারতের বিবাদ হলে চিন রাশিয়ার কঠিন সময়ে পাশে থাকার দরুন রাশিয়ার সম্পূর্ণ সমর্থন পাবে। কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে যে ভারতের উচিৎ আমেরিকার সমর্থনে এগিয়ে যাওয়া। তাহলে ভবিষ্যতে চিন ভারত বিবাদ হলে আমেরিকাও ভারতকে সমর্থন করতে পিছুপা হবে না। যদি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকে তখন আমেরিকাও এটা বলতে পারে যে ইউক্রেনের বিবাদে ভারত নিরপেক্ষ ছিল আমরাও নিরপেক্ষ থাকব। তাই বলা যায় যে দু পক্ষ থেকেই ভারতের উপর একটা পক্ষপাতিত্বের টানা টানি লেগেই আছে।
নিরপেক্ষ ভারত
আবার আরও কিছু বিশেষজ্ঞ এটাও মনে করেন যে ভারতের উচিৎ নিরপেক্ষ থাকা যেমন টা ভারত এখনও অবধি রয়েছে।। তাদের মতে আমেরিকা চিনের বিরুদ্ধে ভারতের সমর্থন এই জন্যই করে কারণ একা ভারত চিনের মোকাবিলা করতে পারবে না। এশিয়ায় চিনের পাশাপাশি কোনো দেশের সাহায্য আমেরিকার চায়। তাই যায় হোক না কেনো আমেরিকা ও ভারত একসাথেই চিনের বিরুদ্ধে থাকবে। এইমতবস্থাই ভারত যদি রাশিয়ার সমর্থন না করে তাহলে আমেরিকা খুবই খুশি হবে।
অপরদিকে ভারত ও চীনের মধ্যে যখন গালওয়ান ঘাটিকে নিয়ে হয়েছিল ঝামেলা হয়েছিল তখন রাশিয়া নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। ভবিষ্যতে চিন ভারতের বিবাদে রাশিয়া চিনের পক্ষপাতিত্ব করতে এলে ভারতের বলার সুযোগ থাকবে যে আমেরিকার সাথে ইউক্রেনকে নিয়ে দ্বন্দ্বে ভারত নিরপেক্ষ ছিলো রাশিয়ারও উচিৎ নিরপেক্ষ থাকা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত চীনের চালক সঠিক কাউন্টার করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[ad_2]