মুখতার আনসারি, আতিক আহমেদ এক সময় উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস ও উপদ্রবের আরেক নাম ছিল। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বড়ো বড়ো ব্যাবসায়ী এই নামগুলো শুনেই কেঁপে উঠতো। সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টির আমলে ফুলে ফেঁপে উঠছিল এই সমস্ত গুন্ডা, মাফিয়ারা। তবে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসতেই উত্তরপ্রদেশের ছবি পাল্টে যেতে শুরু হয়েছে।
যোগী রাজ্যে আতঙ্ক সৃষ্টিকারীরাই উল্টে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বহু মাফিয়া প্রাণ বাঁচাতে আত্মসমর্পণ করছে আবার কেউ উত্তরপ্রদেশে ঢুকতে অবধি ভয় পাচ্ছে। কিছুটা এমনি অবস্থা আফিয়া আতিক আহমেদ নামক কুখ্যাত মাফিয়ার। আতিক আহমেদের উকিল আদালতের দারস্ত হয়ে বলেছে যে তাকে যেন গুজরাট থেকে উত্তরপ্রদেশে না আনা হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যেন শুনানি হয়, এমনটাই দাবি করেছে আতিক আহমেদ। তার দাবি যে উত্তরপ্রদেশ আসা যাওয়া খুব বিপদজনক, তাকে মারার ষড়যন্ত্র হতে পারে। আদালতে আতিক বলেছে, আমেদাবাদ থেকে প্রয়াগরাজের দূরত্ব ১৪০০ কিমি। এর মধ্যে গাড়ি উল্টে যেতে পারে বা অন্য কোনোভাবে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে।
এক মামলার জন্য আতিক আহমেদকে পুলিশ উত্তরপ্রদেশে গাড়ি করে নিয়ে আসার কথা। কিন্তু আতিকের দাবি উত্তরপ্রদেশে গাড়ি পাল্টি খাওয়ার ঘটনা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। এখন দেখার বিষয় যে আদালত আতিক আহমেদের এই দাবিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে কিনা। এইভাবে মুখতার আনসারিকে পাঞ্জাব থেকে উত্তরপ্ৰদেশের আনার জন্য পুলিশ গেছিল। তবে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার তাকে অসুস্থ বলে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সেহেতু কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপরাধীদের বাঁচানোর অভিযোগ উঠেছে।