[ad_1]
উজ্জয়নঃ বলিউডের (Bollywood) সুন্দরী অভিনেত্রী (Actress) সারা আলি খান (sara ali khan) তাঁর ছবি ‘আতরঙ্গি রে’ (Atrangi Re) নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন। এই সিনেমায় কাজ করেছেন অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar), সারা আলি খান ও ধনুষ। এখন অবশেষে ডিজিটালি মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি। গত কয়েকদিন ধরেই সারা তার ছবির প্রচার করছেন। এখন তিনি এই ছবির সাফল্যের জন্য মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে পৌঁছেছেন।
সারা সম্প্রতি উজ্জয়নে পৌঁছেছেন, সেখানে গিয়ে তিনি মহাকাল মন্দিরে ভগবানের আশীর্বাদ নিয়েছেন। এখন উজ্জয়ন থেকে সারার কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হচ্ছে। শুধু ভাইরালই নয়, মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য চারিদিকে ওনার প্রশংসাও হচ্ছে।
নিজে মুসলিম ধর্মাবলম্বী হলেও বরাবরই হিন্দু ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছেন সারা। কাশী বিশ্বনাথের মন্দির থেকে শুরু করে কেদারনাথ, সর্বত্রই ঈশ্বরের দর্শন করে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর জন্য ট্রোল, সমালোচনা কম হয়নি অভিনেত্রীর। কিন্তু মন্দিরে যাওয়া বন্ধ করেননি তিনি। এবার যেমন ছবি মুক্তির আগে মহাকালেশ্বরের মন্দিরে পুজো দিলেন সারা।
View this post on Instagram
//www.instagram.com/embed.js
সাদা চুড়িদারে মাথা ঢেকে মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন সারা। কপালে কিছুটা ঘেটে যাওয়া সিঁদুরের তিলক নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। মন্দিরর মুখ করে প্রণামও জানিয়েছেন সারা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘জয় মহাকাল’। সারার শ্রদ্ধা দেখে মন গলেছে নেটনাগরিকদেরও। কমেন্টে প্রশংসার ঢল নেমেছে অভিনেত্রীর জন্য। অনেকে দাবি করেছেন, সারা নিশ্চয়ই শিবভক্ত।
গত মাসেই কেদারনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন সারা। সঙ্গী হয়েছিলেন শ্রীদেবী ও বনি কাপুর কন্যা অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরও। দুই বান্ধবী মিলে চষে বেরিয়েছেন কেদারনাথ বদ্রিনাথ। এখান থেকেই অভিনেত্রী হিসেবে সফর শুরু সারার। তাঁর প্রথম ছবি ছিল ‘কেদারনাথ’। বিপরীতে ছিলেন প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুত। সারার কাছে এটা শুধুই তীর্থক্ষেত্র নয়, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে জড়িয়ে রয়েছে এই স্থানের সঙ্গে।
নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কেদারনাথ দর্শনের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন সারা। সঙ্গে একটি আবেগঘন ক্যাপশন। লিখেছেন, ‘যেখান থেকে সব শুরু হয়েছিল সেখানেই ফিরে এলাম’। মৌলবাদীদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
তারও আগে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিয়েও বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন সারা। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও নিমানুবর্তিতাকে তোয়াক্কা না করেই সারাকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছিল কাশী বিকাশ সমিতির তরফে। অসমে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়েও সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন সারা। তবে এই ধরনের নেতিবাচকতাকে কখনোই পাত্তা দেননি সারা। বরং বরাবর দুই ধর্মের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
[ad_2]