[ad_1]
কলকাতাঃ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রোশনি আলির একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হচ্ছে। যেখানে ওনাকে একটি লাইভ ডিবেট শো চলাকালীন আজব ভঙ্গিতে নাগিন ডান্স (Nagin Dance) করতে দেখা যাচ্ছে। মায়া নামের এক মহিলা ওই ভিডিও ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘বাংলার নিজের গ্রেটা থানবার্গের মাথা ঘুরে গিয়েছে।” ওই ভিডিওতে অনেকেই নিজের মতো করে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন।
কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) মামলা করে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) সম্পূর্ণ ভাবে বাজি (Firecrackers) নিষিদ্ধ করার দাবি করা পরিবেশ কর্মী রোশনি আলির (Roshni Ali) নাচের ভিডিও (Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হচ্ছে। ওই ভিডিওতে রোশনি আলিকে একটি টিভি শো চলাকালীন নাগিন ডান্স (Dance) করতে দেখা যাচ্ছে। রিপাবলিক বাংলার চ্যানেলে বাজি নিষিদ্ধ করা নিয়ে একটি তর্ক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে নিজের মন্তব্য পেশ না করতে পেরে রোশনি শোয়ের মাঝেই নাগিন ডান্স করা শুরু করে দেয়। তর্ক সভা চলাকালীন ৩১:৫০ মিনিটে রোশনি ডান্স করে। যা কয়েক সেকেন্ড চলে মাত্র।
রোশনি আলি কেন বাজি নিষিদ্ধ করা উচিৎ সেই নিয়ে বলার সময় বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আমরা অক্সিজেনের জন্য চিন্তিত ছিলাম আর অক্সিমিটারে আমরা আমাদের অক্সিজেনে লেভেল পরীক্ষা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম।” রোশনি আলি বায়ু দূষণের পরিমাণ আর মহামারীর সময় মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রয়োজনকে গুলিয়ে ফেলেই যে এই মন্তব্য করেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। উনি এই কথা যখন বলছিলেন, তখন অন্যরা মন্তব্য করার শুরু করে দেয়, আর তখনই রোশনি আলি ডান্স করেন।
Bengal's very own Greta Thunberg has lost her mind. Watch till the end.
pic.twitter.com/BHBhvuxRjg
— MayaB.
(@ignisfatuus1110) November 2, 2021
https://platform.twitter.com/widgets.js
উল্লেখনীয়, কালীপুজোতে পশ্চিমবঙ্গে সম্পূর্ণ রূপে বাজি নিষিদ্ধ করার জন্য পরিবেশ কর্মী রোশনি আলি কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করেছিলেন। সেখানে তিনি সেই মামলায় জয়ী হন আর দীপাবলিতে রাজ্যে সম্পূর্ণ ভাবে বাজি নিষিদ্ধ করে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে একটি মামলা করা হয়।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি হয়। আর শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ করে বাংলায় শর্তসাপেক্ষ বাজি ফাটানোর অনুমতি দেয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, শুধুমাত্র বৈধ এবং সরকার দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্ত গ্রিন ক্র্যাকার্সই ব্যবহার করা যাবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর ভেঙে পড়েন রোশনি আলি। এবং তিনি এও বলেন যে, এই লড়াই চলতে থাকবে। তিনি আবারও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করবেন বাজি নিষিদ্ধ করার জন্য।
[ad_2]