[ad_1]
নয়া দিল্লিঃ ভারত আজ এশিয়ায় একটি খুব বড় এবং শক্তিশালী শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং আমরা এটি খুব ভাল করেই জানি যে, কোনও দেশ যদি সত্যিই চীনকে চ্যালেঞ্জ করার মতো থাকে, তবে সেটা একমাত্র ভারত। এই কারণে ভারত ও চীন উভয়ই এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিযোগিতা করছে। বিগত কয়েক বছরে চীনের পাল্লা ভারী হচ্ছিল, কিন্তু বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।
অতি সম্প্রতি অনেক নেপালি কর্মকর্তা এবং সেখানকার মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করেছে যে, ভারত অনানুষ্ঠানিকভাবে নেপালকে বলেছে যে, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাহায্যে নেপালে যে বিদ্যুত উৎপাদিত হয় তা ভারত তখনই কিনবে, যখন সেটি শুধুমাত্র নেপালের বা অ-চীনা বিনিয়োগে তৈরি হবে।
আর সেই ভয়েই এখন নেপাল ধীরে ধীরে চীনকে তার বিদ্যুৎ খাত থেকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে, নেপাল একটি বিশেষ উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বসে আছে যে, তাঁরা প্রবাহিত বিভিন্ন নদী থেকে কয়েক গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভারত ও ভুটানে রপ্তানি করে কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করা করবে। নেপালের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য বিনিময়ে ভারত তাঁদের চীনা বিনিয়োগ থেকে সরে যেতে বলেছে এবং প্রকৃতপক্ষে নেপালও দূরে সরে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
আমরা যদি শ্রীলঙ্কার কথা বলি, তবে সম্প্রতি ভারত কয়েক মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছে, যা ওই দেশের উপর চীনের ঋণের কারণে আসছিল। শুধু তাই নয়, ভারত শ্রীলঙ্কায় বন্দর ইত্যাদি নির্মাণ করছে এবং ছোট দেশগুলো যাতে জিনপিংয়ের চালবাজির শিকার না হয়, তাঁর জন্য পদক্ষেপও নিচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত ভারতকে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু বলেছেন এবং এটি এমন সময় ঘটছে, যখন চীন শ্রীলঙ্কাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। ভারতের জন্য কৌশলগত স্বার্থকে শক্তিশালী করার দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপকে চীনের প্রভাব থেকে দূরে রাখাও জরুরি।
[ad_2]