[ad_1]
নয়া দিল্লিঃ বর্তমান সময়ে ভারত বিশাল অ্যাকশন মুডে রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। প্রায়দিনই এমন অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যার মধ্যে কিছু সেরা এবং অনেকগুলি বিশ্বের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্র তাঁদের লক্ষ্যে অবিচল। এখনকার কথা বললে, আপাতত চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর বড় ধরনের অ্যাকশনের খবর পাওয়া যাচ্ছে, যার চর্চা অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোতেও হচ্ছে। কোনও না কোনোভাবে এটা ঘটার দরকারই ছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি কেন্দ্রের আয়কর এবং জিএসটি বিভাগ দ্বারা বেশ কয়েকটি তদন্ত করা হয়েছিল। সেই তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, ভারতে নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রি করা বড়বড় চীনা ফোন সংস্থাগুলি প্রচুর কারচুপি করছে। অনেক ট্যাক্সের টাকা বাঁচিয়ে তাঁরা সেগুলো বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে, যাতে তাঁরা বেশি লাভবান হয় বা সেই টাকা অন্যত্র বিনিয়োগ করে আরও ব্যবসা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
কেন্দ্র যখন এই কর্মকাণ্ডের পর্দাফাঁস করল, তৎক্ষণাৎ এই কোম্পানিগুলোর উপর এক হাজার কোটি টাকার জরিমানা করা হয়। এটি একটি বিশাল অঙ্ক, যা দিতে তাঁদের কালঘাম ছুটছে। এরজন্য গোয়েন্দাদের সাফল্যর প্রশংসা করা হচ্ছে, কারণ তাঁদের তদন্তের ফলেই এমন চলমান বিশৃঙ্খলা দ্রুত ধরা গিয়েছে।
এটা আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, চীনের আইটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতের একের পর এক কড়া পদক্ষেপের কারণে চরম ক্ষুব্ধ চীন। আর বেজিং এই ক্ষোভ তাঁদের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের মাধ্যমে, বা অন্য কোনও বিবৃতিতে প্রকাশ করতে থাকেন।আপাতত কেন্দ্র যেই পলিসি আপন করে চলেছে, তাতে মনে হচ্ছে আগামী দিনেও এরকম অনেক কিছুই ঘটবে, যার দরুণ চীনের কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতিও হবে।
[ad_2]