Press "Enter" to skip to content

জিনপিংয়ের নতুন কারসাজি, চীনা মানুষদের পাশাপাশি চলছে নিজের দলেরও গণতন্ত্র কাড়ার প্রস্তুতি

[ad_1]

নয়া দিল্লিঃ চীনের (China) রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Xi Jinping) খুব শীঘ্রই তৃতীয় কার্যকালের জন্য মনোনীত হতে চলেছেণ। একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন করে কমিউনিস্ট পার্টি এই ঘোষণা করতে চলেছে। বেজিংয়ে হতে চলা একটি উচ্চ স্তরীয় বৈঠকে পার্টির ১০০ বছরের ইতিহাস নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করা একটি সংকল্প জারি করা হবে। এরপর শি জিনপিং মাও ৎসে-তুং (Mao Zedong) আর দেং জিয়াওপিং-র পর চীনের এক যুগান্তকারী নেতা ঘোষিত হবেন। এই বৈঠক ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

এক চীনা ইতিহাসবীদের মতে জিনপিংয়ের মতো সাম্প্রতিক কোনও নেতা চীনের ইতিহাসে তেমন কোনও যায়গা বানিয়ে নিতে পারেন নি। ৬৮ বছর বয়সী জিনপিং এই দশকে চীনের সবথেকে বড় নেতা হিসেবে উঠে এসেছে। দেশে দুর্নীতি আর দারিদ্রতার বিরুদ্ধে উনি কিছু কঠোর পদক্ষেপও নিয়েছেন। চীনের শক্তি বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য জিনপিং দেশের মানুষের হিরো হয়ে ওঠেন।

জিনপিংকে যুগান্তকারী নেতা ঘোষণা করা হলে, তারপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বয়নাবাজি দেশের সবথেকে বড় অপরাধের মধ্যে একটি বলে গণ্য হবে। জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত আওয়াজকেই নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জিনপিংকে যুগান্তকারী নেতা ঘোষণা করার আগে থেকেই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘পিপলস ডেলি”তে জিনপিং দেশের হিরো বলে সম্মানিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

জিনপিংয়ের পূর্বে চীনের সমস্ত রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের দুটি কার্যকাল বা ৬৮ বছর বয়স হওয়ার পর অবসরে পাঠানো হয়েছে। যদিও, ২০১৮ সালে সংবিধানে সংশোধনের পর জিনপিংকে তৃতীয় কার্যকালের জন্য বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি করে দেখা দিচ্ছে। তবে এটা স্পষ্ট যে, জিনপিংকে যুগান্তকারী নেতা ঘোষণা করার পর একদিকে চীনের মানুষ যেমন ওনার দিকে আঙুল তুলতে পারবেন না, তেমনই ওনার দলের কোনও নেতাও জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে পারবেন না। জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ভোগ করতে হবে চরম শাস্তি।

[ad_2]