[ad_1]
নয়া দিল্লিঃ ৮০ এবং ৯০ এর দশকে টেলিভিশন ভারতে বেশিরভাগ বাড়িতেই কড়া নাড়ছিল, সেই সময় দূরদর্শনই ছিল তথ্যের প্রধান কেন্দ্র। প্রতিদিনের খবর হোক বা চিত্রহার বা রবিবারে রামায়ণ ও ফিল্ম দেখানোর প্রবণতা, বার্তার ক্ষেত্রে দূরদর্শন সর্বদাই ভারতের স্তম্ভ। তবে বর্তমান সময়ে দূরদর্শন বদলে গিয়েছে, আজ তাঁরা যেভাবে বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছে তা দেখার মতো।
আমাদের আজ দূরদর্শন নিয়ে কথা বলার প্রধান কারণ হল, দূরদর্শন ভারতের দ্বিতীয় বিরোধী দেশ চীনকে হারিয়ে দিয়েছে। আসলে, দূরদর্শন তার বৈশ্বিক কর্মসূচিতে তাইওয়ান সমর্থিত দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চীনের উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে তুলেছে।
একটি প্রোগ্রামে দূরদর্শন স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ‘তাইওয়ান’ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে, যা দেখে চীনের বুক চিনচিন করতেই পারে। চীন বরাবরই তাইওয়ানের ব্যাপারে খুবই সংবেদনশীল। চীন যেহেতু তাইওয়ানকে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে, তাই কেউ তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশ বললে তখনই চীন চটে যায়। সিসিপি চায় না কেউ তাইওয়ানকে স্বাধীন ও আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক।
যদিও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে কোনও না কোনও দেশের নেতা, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী বা অন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাইওয়ানকে চীন থেকে স্বাধীন ও পৃথক দেশ বলে অভিহিত করেছেন। এরকমই ঘটনা ঘটেছে এই সোমবার, যেখানে স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জেনেজ জানসা তাইওয়ানকে “গণতান্ত্রিক দেশ” বলেছেন। তিনি আরও বলেন যে, স্লোভেনিয়া একে অপরের ভূখণ্ডে বাণিজ্য অফিস খোলার জন্য তাইওয়ানের সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করছে।
সোমবার ভারতীয় পাবলিক ব্রডকাস্টার দূরদর্শনের সাথে একটি সাক্ষাৎকারের সময়, স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জেনেজ জানসা বলেছেন যে “তাইওয়ান একটি গণতান্ত্রিক দেশ যা আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক মান এবং আইনকে সম্মান করে।” তিনি বলেন, “স্লোভেনিয়া ও তাইওয়ান প্রতিনিধি বিনিময় নিয়ে কাজ করছে, এটা দূতাবাসের পর্যায়ে হবে না। এটি সেই স্তরেই হবে যেমনটি ইতিমধ্যে অনেক ইইউ সদস্য রাষ্ট্র করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আগের বছরগুলিতে যদি আমাদের শক্তিশালী জোট থাকত, তাহলে আমি মনে করি আমরা ইতিমধ্যেই এই জাতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিস স্থাপন করতাম, কারণ এটি সাধারণ লাভের একটি বিষয়।” তাইওয়ানের প্রতি নিজের সমর্থন প্রকাশ করে, তিনি আরও বলেন যে, “স্লোভেনিয়া তাইওয়ানের জনগণের সার্বভৌম সিদ্ধান্তকে সম্মান করে এবং তাইওয়ানের উপর জবরদস্তি সামরিক, কূটনৈতিক এবং অ-কৌশলগত শক্তি চাপানো উচিত নয়।”

এটুকুই যথেষ্ট ছিল চীনকে রাগে লাল করানো। একদিকে স্লোভেনিয়া যেমন তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে, তেমনই ভারতীয় সরকারি সংবাদমাধ্যমে সেই সাক্ষাৎকার প্রসারিত হচ্ছে। দূরদর্শন এই কাজ করে এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ভারত চীনকে সহজেই তাঁদের স্বার্থসিদ্ধি পূরণ করতে দেবে না এবং চীনের শত্রুদের পাশেই দাঁড়াবে।
[ad_2]