Press "Enter" to skip to content

দুর্নীতির র‌্যাঙ্কিং এ কোন দেশ এগিয়ে! সামনে এল ভারত সহ বাকি দেশগুলির চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

[ad_1]

কোনো দেশের সরকারকে মূলত তিনটি বিশেষত্ব দিয়ে বিচার করা হয়। এক- নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম,দুই – দুর্নীতি, তিন – ব্যাবস্থাপনা। সম্প্রতি বার্লিন ভিত্তিক সংস্থা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ব দুর্নীতি সূচক প্রকাশিত হয়েছে। অন্য সব সূচকের তুলনায় এই সূচকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিগত দশ বছরে অনেক দেশে দুর্নীতি অনেক সরকার পরিবর্তনে বাধ্য করেছে। এই রিপোর্টে বিভিন্ন দেশের র‌্যাঙ্কিং বিশ্বের নজর কেড়েছে।

যেখানে পাকিস্থান অনেক নিচে নেমে গেছে , ভারত (India) এর রাঙ্কিং ও খুব লক্ষণীয়। যাতে 180 টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান হলো 85 তম। কিন্তু পাকিস্থানের অব্যবস্থা খুবই খারাপ, বিশেষত ইমরান খানের সময়ে তা আরও খারাপ অবস্থাতে পৌঁছে গেছে। কিন্তু নতুন রিপোর্ট এতটাই চমকে দেওয়ার মতো যাতে পাকিস্থানের শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আসতে পারে। পাকিস্থানের রিপোর্ট সামনে আশা মাত্রই পাকিস্থানের জনগন সোশ্যাল মিডিয়াতে খোলা খুলি ইমরান খানকে দুর্নীতির রাজা বলেছেন।

এই সূচক পাকিস্থানের আগত নির্বাচনেও 2023 যে প্রভাব ফেলবে তা বোঝায় যাচ্ছে। এক সময় ভারতে 2012/13 সালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক বিপ্লব হয়েছিল ইন্ডিয়া এগেইনস্ট করাপশন। যার ফলে ভারতীয় রাজনীতিতে এক আমূল পরিবর্তন আসে। অনেক রাজনৈতিক দল শেষ হয়ে যায় এএপি এর মত নতুন কিছু দলও সৃষ্টি হয়। পাকিস্থানের ক্ষেত্রেও নবাব শরীফকে নিয়ে দেশের অনেক লোকের সমস্যা ছিল।

তিনি দুর্নীতিকে খুব সহযোগ করতেন এবং দুর্নীতি পরায়ন ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতেন না। সেই জন্য যখনই এই সূচক বেরিয়ে আসে সারা বিশ্বের নজর এই সূচকের উপর টিকে থাকে। বিগত বছরে ভারতের রাঙ্কিং ছিলো 86 তম। এ ছাড়াও বিগত দশ বছরের রাঙ্কিং এ ভারত 80/85 তম তে আটকে আছে। দেশ উন্নতি করেছে কিন্তু খুব ভালো বলা যায় না ; আরও উন্নতি করতে হবে।দুর্নীতি কখনও খুব তাড়াতাড়ি সমাধান সম্ভব নয় যাতে সমাজ অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। এ ক্ষেত্রে উন্নতি ধীরে ধীরেই হবে। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ তাই সময় তো লাগবেই। তবুও ভারতের স্থান অনেক সুস্থিত কিন্তু সেখানেই পাকিস্থানের রাঙ্ক নিচে নেমেই যাচ্ছে 2019,2020,2021 তে যথাক্রমে 120তম,124তম,140তম।

180 টি দেশের মধ্যে 140 স্থানের জন্য সবাই ইমরান খানকে দায়ী করেছে। এটার পেছনে প্যানডোরা পেপার লিকেরও প্রভাব রয়েছে। এই ঘটনায় ইমরান খানের নাম সরাসরি না থাকলেও তার আশেপাশের অনেক লোকের নাম এতে জড়িত ছিল। প্রায় 700 পাকিস্থানের নাম জড়িত ছিল। পাকিস্থানের অনেক সরকারি লোক ছিলেন। যার পুরো চাপ টায় আসে ইমরান খানের উপর। বলা হচ্ছে, ইমরান খান এতটাই দুর্বলচিত্ত প্রধানমন্ত্রী যিনি সৈন্যদের বলে চলেন তার নিজের কোনো ক্ষমতা নেয়। সম্প্রতি এটাও শোনা গেছে পাকিস্থান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইমরান খানকে বলে দিয়েছিলেন যে তিনি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন তাকে পাকিস্তানিরা বাছাই করেছেন।

পাকিস্তানি দৃষ্টি ভঙ্গিতে দেখলে কাশ্মীরের উপর ভারত অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে পাকিস্থান সেটা পারে নি। তাছাড়াও রয়েছে বিশ্বব্যাপী ঋণ ও দুর্নীতি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এমনকি ইমরান খান নিজেই ভীত হয়ে আছেন তিনি নিজেই এক বক্তৃতায় বলছেন ভবিষ্যতে যদি তাকে জোর করে তার পদ থেকে সরানো হয় তাহলে তিনি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন। রাস্তায় প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করবেন। এই রকম বক্তব্য একজন প্রধানমন্ত্রী তখনই দেন যখন তিনি তার পদ নিয়ে অনিশ্চিত থাকেন। পাকিস্থানে এই রাজনৈতিক অস্থিতশীলতা ভারতেরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশ গুলোর মধ্যে চিন রয়েছে -66 তম,শ্রীলংকা – 102 তম, নেপাল -117 তম, বাংলাদেশ- 147 তম, আফগানিস্থান-174 তম। অর্থাৎ চিনের থেকেও ভারত বেশি দূরে নেই। যদিও ভুটান অনেক আগে রয়েছে 25 তম। কিন্তু ভুটান ছোট্ট দেশ ও জনসংখ্যাও অনেক কম। ভুটানের সাথে কোনো দেশের সঠিক তুলনা করা সম্ভব নয়। আবার বিশ্বব্যাপী যারা শীর্ষে রয়েছে সে তিনটি দেশ হল – ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড , নিউজিল্যান্ড। এই তিনটি দেশই সূচকে প্রথম স্থান দখল করে আছে যেখানে দুর্নীতি অনেক কম। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী সবথেকে দুর্নীতি গ্রস্থ দেশ হলো – দক্ষিণ সুদান 180 র‌্যাঙ্ক। তারআগে 180 র‌্যাঙ্ক নিয়ে রয়েছে সোমালিয়া।

[ad_2]