Press "Enter" to skip to content

দেশে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, মোদী আমলে সংখ্যালঘুরা ভারতে বিপদে: হামিদ আনসারী, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি

[ad_1]

কিছু ব্যাক্তি থাকেন যারা ভারত (India)দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা বিশ্ববাসী কে জানিয়ে দেশের মান ও সম্মান কে বিশ্ব দরবারে প্রতিস্থাপন করে। কিছু এমনও মানুষ আছেন দেশ কথা না ভেবে ভুল মন্তব্য করে দেশবাসীর মাথা বিশ্ব দরবারে নত করতে বাধ্য করে। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছেন দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারী (Hamid Ansari)। উনার মন্তব্য দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরী করেছে

প্রজাতন্ত্র দিবসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কার্যত ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতে অসহিষ্ণুতা বেড়েছে। তার দাবি মুসলিমরা সুরক্ষিত নয়। তিনি বলেন, ভারত তার সাংবিধানিক মূল্যবোধ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল (আইএএমসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হামিদ আনসারি। IAMC মূলত ভারত বিরোধী হিসেবেই পরিচিত।

Hamid ansari

হামিদ আনসারি বলেছেন যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এমন যাচ্ছে যা প্রতিষ্ঠিত নাগরিক জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে এবং সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে ।জাতীয়তাবাদ কে ব্যাবহার করে হিংসা তৈরি করার চেষ্টা চালানো যাচ্ছে। ভারত সরকার চাই নির্বাচনী সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে উপস্থাপন করে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাকে একচেটিয়া করতে। এই ধরনের লোকেরা চায় তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানুষ বিভক্ত হোক এবং হিন্দুত্ববাদী শক্তি কে জাগিয়ে তুলে দেশ কে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিতে।

এই কর্মসূচিতে আনসারির কথা ভারত বিরোধী মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সমর্থনও পেয়েছে। মার্কিন আইন প্রণেতা এড মারকি, জিম ম্যাকগভর্ন, অ্যান্ডি লেভিন এবং জেমি রাস্কিনও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই তিনজন এখানে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ।

সিনেটর এড মারকির এর আগে ও ভারত বিরোধী কথা বলেছে। তিনি এই কর্মসূচি তে বলেছেন ভারত সরকার সংখ্যালঘু দের টার্গেট করছে।এবং এমন পরিবেশ সৃষ্টি করছে যা অসহিষ্ণু। অ্যান্ডি লেভিন বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র পিছিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার ও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের ওপর হামলা বাড়ছে। এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর অনেকে হামিদ আনসারী বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অনেকে বলেন, বিদেশি শত্রু দের সাথে দেশ এর প্রজাতন্ত্র দিবস এর দিনে হামিদ আনসারী এই সব কথা বলে প্রমাণ করেছেন তার কাছে দেশ এর সন্মান কিছু আসে যায় না। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে যার দায়িত্ব দেশ কে একতার বার্তা দেওয়া সেখানে তিনি ভুল কথা পরিবেশন করে মানুষ কে বিভাজিত করছেন। ভারতবর্ষের মতো দেশ এ এইরকম মানুষ এর থাকার থেকে থেকে না থাকা ভালো বলেও মত একাংশের।

[ad_2]