Press "Enter" to skip to content

দয়া করে বয়কট করবেন না, অস্ট্রেলিয়ার কাছে কাতর আবেদন চীনের

[ad_1]

নয়া দিল্লিঃ এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে চীন নিজেদের একঘরে করা হচ্ছে দেখে কাকুতিমিনতি করা শুরু করে দিয়েছে। গত মাসে চীন বলেছিল যে অস্ট্রেলিয়া যদি বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে অংশ না নেয়, তাতে তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না। চীন সেই সময় অস্ট্রেলিয়াকে হেলায় উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।

কিন্তু এখন মাল্টি-স্পোর্টস ইভেন্ট বয়কট না করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে কাকুতিমিনতি করা শুরু করে দিয়েছি চীন। তাঁরা সুর বদলে দিয়ে হঠাৎ করে “খেলার প্রকৃত চেতনা” এবং কোভিড প্রেক্ষাপটে অলিম্পিকের হোস্টিং কীভাবে “একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ” সে সম্পর্কে কথা বলা শুরু করেছে।

গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মার্কিন কূটনৈতিক বয়কটে যোগ দিয়ে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিককে বহিষ্কার করে চীনকে হতবাক করেছিলেন। মরিসন বলেছিলেন যে, এই সিদ্ধান্তটি জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অস্ট্রেলিয়ান পণ্য আমদানির বিরুদ্ধে চীনের প্রতিকূল পদক্ষেপ এবং বেইজিংয়ের সাথে কূটনৈতিক চ্যানেলগুলি পুনরায় খোলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রামের ফলাফল।

স্কট মরিসন বলেছিলেন যে, এটি আশ্চর্যের কিছু নয় যে ক্যানবেরা (অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সূচিত কূটনৈতিক বয়কটের সাথে যোগ দিয়েছে এবং তিনি এটি করছেন কারণ এটি “অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থ” এবং “সঠিক জিনিস”।”

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা শীতকালীন অলিম্পিকসের জন্য চীনে যাবেন না। অস্ট্রেলিয়ান অ্যাথলেটরা তাই করবে।” তবে শুধু অস্ট্রেলিয়া বা আমেরিকাই নয়, বেইজিংয়ের শীতকালীন অলিম্পিকসের কূটনৈতিক বয়কট করার কোথা ভাবছে ফ্রান্স এবং কানাডার মতো দেশগুলোও। বলাই ভালো যে, এটা একদিকে যেমন চীনের কাছে সবথেকে বড় দুঃসংবাদের মধ্যে একটি, তেমনই আরেকদিকে এটি চীনকে একঘরে করে দেওয়ার জন্য নেওয়া পদক্ষেপও।

[ad_2]