[ad_1]
নয়া দিল্লিঃ নতুন বছরের শুভ সূচনা হয়ে গিয়েছে। 2022 বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য অনেক আশার সূচনা করেছে। তবে চীনা নাগরিকদের জন্য নতুন বছর নিয়ে এসেছে গ্লানি, অনিশ্চয়তা এবং বড় ধরনের ব্ল্যাকআউটের হুমকি। চীন একটি শক্তি-ক্ষুধার্ত দেশ। চীনের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলি ক্রমাগতভাবে একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কারণ চীনে বর্তমান পরিস্থিতিতে কয়লার সরবরাহ কমেছে। 2021 সালের নভেম্বরে চীনের কয়লা আমদানি তাদের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল, কারণ শীতের শুরুতেই চীনে দারুণ পরিমাণে ঠাণ্ডা পড়েছিল। বর্তমানেও শীত চীনে এখন সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে বিরাজ করছে। চীনা নাগরিকরা এখন হিমায়িত হওয়ার সম্ভাবনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া তাঁদের কয়লা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। কয়লা রপ্তানির স্থগিতাদেশ পুরো জানুয়ারির জন্য বলবৎ থাকবে এবং প্রয়োজনে তা বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এটি চীনের জন্য বড় সংকট ছাড়া কিছুই নয়। ইন্দোনেশিয়ার কয়লা না পৌঁছলে, চীন আবার জ্বালানীর একটি ক্ষমাহীন ঘাটতি দ্বারা আকৃষ্ট হবে। এমনকি যদি ইন্দোনেশিয়া ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবার রপ্তানি শুরু না করে, তাহলে চীনের জন্য কয়লার ঘাটতির দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করবে।
ইন্দোনেশিয়ার নতুন বছরের দেওয়া এই উপহারটি চীনের গলা দিয়ে নামবে না। ইন্দোনেশিয়ার খনিজ ও কয়লার মহাপরিচালক রিদওয়ান জামালউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ সম্পন্ন হলে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে, রপ্তানি আবার শুরু হবে। আমরা ৫ জানুয়ারির পর সবকিছু মূল্যায়ন করব।” বলে দিই, ইন্দোনেশিয়া শুধু নিজেদের স্বার্থ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষার চেষ্টা করছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি নিজেই এক ধরণের সংকটের সম্মুখীন হয়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জামালউদ্দিন আরো বলেন, “কেন সবাই রপ্তানি নিষিদ্ধ করছে? এটি আমাদের আয়ত্তের বাইরে এবং অস্থায়ী সমস্যা। আমরা নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে ১০ হাজার ৮৫০ মেগাওয়াটের প্রায় ২০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে। যদি কৌশলগত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমাদের দেশেই ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হতে পারে।”
তবে এটা নিশ্চিত যে, ইন্দোনেশিয়ার এই সিদ্ধান্তে চীন সংকটে পড়তে চলেছে। মাস কয়েক আগেই চীনে একই ধরনার সংকট দেখা দিয়েছিল। সেই সময় সব কয়লা রপ্তানিকারক দেশগুলোই রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এরফলে চীনের শিল্পাঞ্চল বড়সড় সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এবার ইন্দোনেশিয়ার এই সিদ্ধান্তে ফের সংকটে পড়তে চলেছে চীন।
[ad_2]