[ad_1]
ভারত চীনকে কোণঠাসা করার জন্য এক অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কোনো দেশই যত ছোট হোক না কেনো তার নিজস্ব কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকে। ঠিক তেমনই নেপালের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে এশিয়ার শক্তি ঘর হওয়ার। সামরিক, আইটি সেক্টর এর দিক থেকে নেপাল অন্য দেশকে টক্কর দিতে পারবে না জানে। কিন্তু নেপাল নিজস্ব কিছু শক্তি চায় যার ফলে বিশ্বের কাছে নেপালেও গুরুত্ব বাড়ে এবং এশিয়াতে শক্তির অবদানকারী হিসেবে তাকেও সবাই সম্মান করে। নেপালে বিশেষ কোনো শিল্প গড়ে ওঠেনি। কিন্তু প্রকৃতির দেওয়া নেপালকে বিশেষ উপহার হলো খরস্রোতা নদ-নদী।
এই নদীগুলোর গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নেপাল খুব সহজেই জলবিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে এবং তা বিক্রি করতেও পারবে। নেপালের প্রধান পরিকল্পনা ছিল নেপাল ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান সহ আরো অন্যান্য দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে। সমগ্র এশিয়া তে যদি কোনো দেশের বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তাহলে নেপাল তা মেটাতে চাই । লক্ষণীয় এটাই যে এই বিদ্যুৎ হচ্ছে পুনর্নবীকরণ ; কয়লা বা অন্য কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে আসছে না। যার ফলে এই পরিবেশ বান্ধবও বটে। অবশেষে 2021 সালে অনেক বছরের পরিশ্রমের পর নেপালের এই সপ্ন পূর্ণ হল।
নেপাল ভারতকে 2021 সালে সল্প হলেও জলবিদ্যুৎ বিক্রি করে যার পরিমাণ -39 মেগাওয়াট। নেপাল আশাবাদী যে অদূর ভবিষ্যতে ভারতকে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে নেপাল অনেক অনেক টাকা উপার্জন করবে। নেপাল বর্তমানে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্র গুলো থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে সেগুলো ভারতেরই দেওয়া টাকা দিয়ে তৈরি হয়েছে এবং এই চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে 2014 সালে সাক্ষরিত হয়েছিল। 2019 এর আগে পর্যন্ত নেপাল অনেকবার ভারতের কাছে থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয়েছে কিন্তু সম্প্রতি নেপাল ইতিহাসে প্রথম দেশে পরিণত হয়েছিল যার নিজের দেশের জন্য যথেষ্ঠ বিদ্যুৎ থাকার পরেও উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করতে পারে।
ভারতের জন্যেও এটা খুব ভালো কারণ ভারত নির্ভর করে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর কিন্তু এই বিদ্যুৎ পুনর্নবীকরণ যোগ্য যা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর বিরুদ্ধে এক দারুণ পদক্ষেপ। যার ফলে ভারতের যে লক্ষ আছে 2070 সাল পর্যন্ত ‘0’ কার্বন নিঃসরণকারি দেশ হতে পারে। কিন্তু এইখানে আবার ভারতের জন্য চীনকে নিয়ে আবার এক সমস্যা দেখা যায়।এবার চিন নেপালে ভারতের মতো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাচ্ছে। ফলে যে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে তাতে চিনের অংশ থাকবে। কিন্তু ভারত এখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বলে যে নেপালের যে সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নেপালের নিজের টাকা, বিশ্ব ব্যাংকের টাকা, চিন বাদ দিয়ে ভারত সহ অন্য কোনো দেশের টাকা দিয়ে তৈরি হলে সেই বিদ্যুৎ ভারত নেবে।
তবে চিনের তৈরি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ভারত নেবে না। কারণ তাতে সেই কেন্দ্রের উন্নতিসাধন হলে তা সরাসরি চিনের ব্যাবসায়ীদের পকেটে ইন্ধন যোগাবে। যার ফলে নেপালেও চিনের প্রভাব বাড়বে। কিন্তু এই পুরো ব্যাপারটাই কোনো সরকারি অনুমোদন ছাড়াই করেছে ভারত। ভারতের বিদ্যুৎ এক্সচেঞ্জে যারা আছেন তারা সরাসরি নেপালকে এই কথা বলেছেন। ভারতের নেওয়া এটা এক দারুণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
কারণ নেপাল অধ্যুষিত এলাকায় চিনের জনসংখ্যা এবং বিদ্যুৎ প্রয়োজন কোনোটায় বেশি নেয়। নেপাল থেকে চিন পেছনে সরে যাবে এইটায় আসা করা যায়।
[ad_2]