Press "Enter" to skip to content

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক হল ভারত আর UAE, মাথায় হাত ইমরান খানের

[ad_1]

নয়া দিল্লিঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানিতে (ADNOC) ড্রোন হামলা হয়েছে। এই হামলায় দুই ভারতীয় ও একজন পাকিস্তানিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এরপর এ ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই হামলা নিয়ে ভারত বলেছে যে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীতে একাধিক বিস্ফোরণের অপরাধীদের খুঁজে পেতে “সব সম্ভাব্য সহায়তা” দেবে।

ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা এমন এই হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে। এই হামলায় দুই ভারতীয় ও একজন পাকিস্তানি নাগরিক নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে। আবুধাবিতে তিনটি পেট্রোলিয়াম ট্যাঙ্কারে এই বিস্ফোরণ সম্ভবত ড্রোন দ্বারা করা হয়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশের বেসামরিক স্থাপনা এবং এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করার জনু হুথি সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করেছে যে, তাঁরা অপরাধীদের রেহাই দেবে না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদেশমন্ত্রক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রক তার বিবৃতিতে বলেছে, “এই সন্ত্রাসী হামলা এবং এই অপরাধ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রয়েছে। UAE এই হামলাগুলিকে আন্তর্জাতিক এবং মানবিক আইন লঙ্ঘন করা হুথি মিলিশিয়াদের দ্বারা সংঘটিত একটি জঘন্য অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করেছে।”

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই ধরনের হামলার মোকাবিলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ভারতের দৃঢ় সংহতি বিশ্বকে জানিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রক জোর দিয়ে বলেছে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নীতিগত অবস্থানের ভিত্তিতে ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশে থাকবে।

এখন এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে, ভারতের উপরও এ ধরনের হামলা হতে পারে এবং এই হামলা পাকিস্তান করতে পারে। ২০২০ সালের আজারবাইজান আর্মেনিয়া দ্বন্দ্বের পর থেকে সশস্ত্র ড্রোনের হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে যা প্রথমবারের মতো মানবহীন প্ল্যাটফর্মের প্রাণঘাতী ক্ষমতা দেখিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ড্রোন হামলা হয়েছে। আর এই কারণে ভারত তার নিরাপত্তা মজবুত করার জন্য এই ধরনের সশস্ত্র ড্রোনের বিরুদ্ধে বিশ্বমানের সরঞ্জাম তৈরি করছে।

এদিকে পাকিস্তানও নিজেদের কাজ করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।  তাঁরা সেই কাজই করছে, যেটা তাঁরা সবথেকে ভালো জানে। সেটা হল সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বাড়ানো। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি খবর পেয়েছে যে পাকিস্তান চীনা ড্রোন কিনছে এবং ভারতে অস্ত্র ও মাদক পাচারের জন্য সেগুলি ব্যবহার করতে চায়।

তবে এই সবের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও হল যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন ভারতের সাথে সহযোগিতা করাকে উপযুক্ত বলে মনে করছে। একটা সময় ছিল যখন পাকিস্তান তার ঘৃণ্য কাশ্মীর এজেন্ডায় আরব বিশ্বের সমর্থন পেত কিন্তু আজ পরিস্থিতি একটু ভিন্ন।

গত কয়েক মাসে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত শক্তিশালী ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি চুক্তিক স্বাক্ষর করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শিল্প, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতকে সাহায্য করছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে পাকিস্তান মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের হুমকি থেকে দূরে রাখতে ভারতকে সাহায্য করতে চায়। সম্ভবত পাকিস্তানও হুথি যোদ্ধাদের জঙ্গিদের সরবরাহ করেছে এবং যদি এই জিনিসটি আগামী সময়ে প্রমাণিত হয় তবে ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানের শেষ দেখে ছাড়বে।

[ad_2]