Press "Enter" to skip to content

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অটোমোবাইল সেক্টর হতে চলেছে ভারত, পস্তাবে Ford-র মতো কোম্পানিগুলো

[ad_1]

নয়া দিল্লিঃ সবচেয়ে জনপ্রিয় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিতিন গড়করি সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, সেটি হল … তিনি যে উদ্দীপনার সঙ্গে কাজ করেন, তা দেখে মনে হয় যে নরেন্দ্র মোদী উন্নয়নের যে মাত্রা নিশ্চিত করেছেন সেই লক্ষ্য তিনি একাই পূরণ করতে চান। দ্বিতীয় যে জিনিসটি তাকে জনপ্রিয় করে তোলে তা হল, তিনি তার প্রতিশ্রুতি পালনে দৃঢ়। এখন তার পরবর্তী অভিযান হল, ভারতের অটোমোবাইল সেক্টরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় করে তোলা। এ জন্য তিনি নিশ্চিত করছেন যে, ভারতে যা কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূর করা যায়। এই প্রেক্ষাপটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে সবাইকে জানিয়েছেন।

নিতিন গড়করি একটি যানবাহন স্ক্র্যাপিং এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইউনিটের উদ্বোধন করতে নয়ডায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, “গাড়ির বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার করা সেক্টর (অটোমোবাইল) এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে জোয়ার আনতে পারে।” সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি আরও বলেছেন যে, “ভারতকে একটি বিশ্বব্যাপী উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করতে কেন্দ্র সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে অটোমোবাইল সেক্টরের বার্ষিক টার্নওভার দ্বিগুণ করে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা করার একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।”

বর্তমানে দেশে অটোমোবাইল সেক্টরের বার্ষিক টার্নওভার সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩ লক্ষ কোটি টাকার রপ্তানি অন্তর্ভুক্ত। তবে গাড়ির স্ক্র্যাপেজ এবং পুনর্ব্যবহার করার প্রসার দীর্ঘমেয়াদে ইনপুট খরচ কমাতে এবং স্থানীয় শিল্পে পরিণত করতে এবং বিশ্ববাজারকে আরও প্রতিযোগিতামূলক তৈরি করতে সহায়তা করবে।

নিতিন গড়করি তার বিবৃতিতে বলেছেন, “সরকার দ্বারা প্রবর্তিত স্ক্র্যাপেজ নীতি ভারতীয় অটোমোবাইল সেক্টরকে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে, কারণ সমস্ত প্রধান কাঁচা ধাতু অবশেষে পুনর্ব্যবহার করা যাবে৷ এর ফলে উপাদান ব্যয় হ্রাস পাবে। স্টিল, কপার, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক ও রাবারের মতো কাঁচামালের দাম কমবে। রিসাইক্লিং আমাদের আমদানিও কমিয়ে দেবে। এটি আমাদের সরকারের স্বনির্ভর ভারতের লক্ষ্য অর্জনেও সাহায্য করবে।”

আপনাদের বলে দিই যে, বর্তমানে যানবাহন নির্মাতারা রেকর্ড উচ্চ উপাদান খরচের সম্মুখীন হচ্ছেন, যা তাদের বারবার দাম বাড়াতে বাধ্য করছে। দেশের বৃহত্তম যানবাহন প্রস্তুতকারক মারুতি সুজুকির চেয়ারম্যান আরসি ভার্গবের মতে, পণ্যের দামের তীব্র বৃদ্ধির ফলে কোম্পানির খরচ অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গিয়েছে।”

গডকরি বলেন, “গাড়ির জাঙ্ক নীতি পরিবর্তন করে, উৎপাদন খরচ ৩৩ শতাংশ হ্রাস করা এবং যানবাহন বিক্রয় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সরকার এখন স্ক্র্যাপিং এবং রিসাইক্লিং সেক্টরে ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগ আশা করছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে আমি নিশ্চিত ভারতে ২০০ থেকে ৩০০ নতুন স্ক্র্যাপিং এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুবিধা থাকবে। আমরা প্রতি জেলায় এমন ৩-৪টি কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছি। এটি শুধুমাত্র দুই লক্ষ কর্মসংস্থানই তৈরি করবে না, এর ফলে যানবাহন বিক্রি থেকে অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটি টাকা GST সংগ্রহও হবে।”

উল্লেখ্য, ফোর্ড কোম্পানি ভারতে এসেছিল ১৯৯০ সালে। নিজের ২০ বছরে ফোর্ড ভারতীয় বাজারে তার দখলকে শক্তিশালী করতে পারেনি এবং অনেক ক্ষতির ও সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের। এরপরেই তাঁরা ভারত থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। একই সঙ্গে জেনারেল মোটরসকেও লোকসানের কারণে ভারত ছাড়তে হয়েছিল।

এখন যখন ভারতের অটোমোবাইল সেক্টরে এত বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন জেনারেল মোটরস এবং ফোর্ডের মতো সংস্থাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, কারণ তারা যে বাজারটি গরিব ভেবে ছেড়ে গিয়েছিল তা এখন বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে। ১৫ লাখ কোটি টাকা মানে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর এই কোম্পানিগুলো ভারতে এই সেক্টরে বড় স্টক হয়ে উঠতে পারত, কিন্তু এখন আফসোস করে লাভ হবে না।

[ad_2]