Press "Enter" to skip to content

‘বুদ্ধি হোক, সেকুলার হতে হবে!” সুপ্রিম কোর্টের বাজি পোড়ানোর অনুমতিতে ভেঙে পড়লেন রোশনি আলি

[ad_1]

কলকাতাঃ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বাজিতে (Firecrackers) নিষেধাজ্ঞা মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ করে বাংলায় বাজি পোড়ানোয় সম্মতি দিয়েছে। তবে রাখা হয়েছে কিছু শর্ত। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বৈধ গ্রিন ক্র্যাকার্স বা সবুজ পটকা ফাটালে কোনও সমস্যা হবে না। সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসতেই ভেঙে পড়েন সমাজকর্মী রোশনি আলি (Roshni Ali)।

শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর হতাশায় ডুবে পড়েন রোশনি। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রকৃতিকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু হেরে গিয়েছি। এই কয়েকমাস আগেই বহু মানুষ অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের কথা ভেবেই কালীপুজোর সময় পরিচ্ছন্ন বাতাস পাওয়া আশা করেছিলাম মাত্র। কিন্তু সেই আশা পূরণ হল না। ইতিমধ্যে আমার অ্যালার্জি শুরু হইয়ে গিয়েছে। এতকিছুর মধ্যেও কী বাজি পোড়ানো খুবই দরকার ছিল?”

 উল্লেখ্য, রাজ্যে সম্পূর্ণ ভাবে বাজি নিষিদ্ধ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সমাজকর্মী রোশনি আলির দায়ের মামলার পর এই রায় দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের তরফ থেকে। এরপর রাজ্য জুড়ে বাজি বিক্রেতাদের তল্লাশি চালায় প্রশাসন। ধরা পড়ে অজস্র অবৈধ পটকা। অন্যদিকে কালীপুজোতে বাজি বিক্রি করতে না পাড়ায় ক্ষতির মুখেও পড়তে হোয় তাঁদের। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বর্তমানে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন তাঁরা।

এই বিষয়ে সমাজকর্মী রোশনি আলি বলেন, ‘এই যুদ্ধ আমার একার ছিল না। আমি বাংলার জনগণের হয়েই এই মামলা করেছিলাম। মানুষের জীবনের থেকে বেশি তো আর কিছু হতে পারে না। আমি চাই মানুষ আরও সচেতন হোক, বুদ্ধি হোক। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আরও ভেবে দেখা উচিৎ ছিল। একটু সেকুলার হয়ে নতুন সময়ের জন্য যেন এগোতে পারি।

[ad_2]