[ad_1]
নয়া দিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রয়েছেন এবং এই কারণে তাঁর এজেন্ডা অনুসারে দেশে অনেক কিছুই চলছে। ছোটখাটো অনেক কিছুর পরিবর্তনের পাশাপাশি অনেক বড়সড় পরিবর্তনও ঘটেছে দেশে।
এই মুহুর্তে মোদী সরকারের সবথেকে বড় এজেন্ডা হল ভুলে যাওয়া ভারতের আসল নায়কদের জনগণের মধ্যে ফিরিয়ে আনা। সর্দার প্যাটেলের সম্মানে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি তৈরি করা, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মরণে ইন্ডিয়া গেটে তাঁর মূর্তি স্থাপন করা, এসব দেখলেই আপনি মোদী সরকারের সেই এজেন্ডা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও দেশের বীর শহীদ জওয়ানদের স্মরণে নির্মাণ করা জাতীয় ওয়ার মেমোরিয়ালও দেশের মানুষের নজর কেড়েছে।
দেশে মহাত্মা গান্ধীকে একমাত্র নায়ক আখ্যায়িত করে কাজ শেষ করার প্রথা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এর ফলে সেই বীররাও তাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন, যারা এর দাবিবার। মোদী সরকারের কাজের ফলে এটা সম্ভব যে, ভারতের আগামী প্রজন্ম গান্ধীজিকে যেমন চোখে দেখে আর সম্মান করে, তেমনই শ্রদ্ধার চোখে অন্য নায়কদের দেখবে এবং সম্মান করবে।
আপাতত, অনেক জায়গায় নাম পরিবর্তন করেও ভারতীয় সংস্কৃতিকে নতুন করে জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর কয়েকটি উদাহরণ গুরগাঁওয়ের নাম পরিবর্তন করে গুরুগ্রাম, মুঘলসরাই স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন, আন্দামান বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে বীর সাভারকার বিমানবন্দর, ঝাঁসি রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রানি লক্ষ্মীবাই রেলওয়ে স্টেশন রাখা হচ্ছে।
এর মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী এটাই বোঝাতে চাইছেন যে, শুধুমাত্র একজনের নাম নিয়েই দেশ আজীবন চলবে না। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা সমস্ত নায়কদের এবার ভারতবাসীকে চেনানো হবে আর তাঁদের বীরত্বের কাহিনীও তুলে ধরা হবে। মোদী বিরোধীরা বিশেষ করে কংগ্রেস পার্টি এটা বুঝে গিয়েছে যে, তাঁরাও আর মহত্মা গান্ধীর নাম নিয়ে বেশীদিন ভোট টানতে পারবে না।
[ad_2]