[ad_1]
নয়া দিল্লিঃ গোটা বিশ্বেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার লক্ষ্যে নেমেছে চীন। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো এবং তাঁদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে গায়ের জোর দেখিয়ে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করতে চায় তাঁরা। আর এই লক্ষ্যেই নেপাল, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান-র বহু এলাকা নিজদের বলে দাবি করে চলেছে তাঁরা।
অন্যদিকে, ভারতের সীমান্তের কিছু এলাকাও নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। তবে, ভারতের সঙ্গে পেড়ে না ওঠায় তেমন সুবিধা করতে পারছে না। এছাড়াও ভারতের পিছনে লাগার কারণে চীন গোটা বিশ্বেই প্রায় একঘরে হয়ে গিয়েছে, সেই কারণে তাঁরা ভারতের দিক থেকে একটু নজর ঘুরিয়ে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ানের মতো কমজোর দেশগুলিতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য রেখেছে।
যদিও, তাইওয়ান, ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো কমজোর হলেও চীনকে ছাড়বার পাত্র নয়। আর এই কারণেই তাইওয়ান লাগাতার চীনকে হুমকিও দিয়ে আসছে। এছাড়াও ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এখন নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির দিকে নজর দিচ্ছে।
সেই ক্রমেই ফিলিপাইন ভারতের সঙ্গে ভারতে তৈরি স্বদেশী সুপারসনিক ব্রহ্মস মিসাইলের চুক্তি করেছে। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের এই চুক্তিতে কদিন আগেই সিলমোহর দিয়েছে ফিলিপাইন। যদিও, ভারত নিজের থেকে ঋণ দিয়ে ফিলিপাইনকে এই চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ফিলিপাইন বর্তমানে আর্থিক দিক থেকে একটু সবল হওয়ার পর ঋণ ছাড়াই এই চুক্তি করেছে।
এই চুক্তির ফলে একদিকে যেমন ফিলিপাইনের শক্তি বৃদ্ধি পাবে, তেমনই ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পও সফল হবে। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামও ভারতের থেকে সুপারসনিক ব্রহ্মস মিসাইলের চুক্তি করার জন্য এগিয়ে এসেছে।
তবে ভারতের থেকে সুপারসনিক ব্রহ্মস মিসাইল নিয়েই চুপচাপ বসে থাকতে চায়না ফিলিপাইন। তাঁরা এবার আমেরিকার কাছ থেকে ৩২টি S-70i ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারও অর্ডার করেছে। যদি এই পদক্ষেপগুলিকে সামগ্রিকভাবে দেখা হয়, তবে এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে দেশকে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করার উদ্দেশ্য ফিলিপাইন উঠেপড়ে লেগেছে।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিলিপাইন পোল্যান্ডে অবস্থিত সিকোরস্কি বিমানের একটি সহযোগী সংস্থা PZL Mielec থেকে 32টি S-70i ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার অর্ডার করছে। ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লোরেঞ্জানার মতে, ২৮ ডিসেম্বর একটি প্রকল্পের অধীনে নতুন হেলিকপ্টার সংগ্রহের জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছিল, যাতে লজিস্টিক সহায়তা এবং পাইলট ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের জন্য ৩২ বিলিয়ন পেসো (৬২৪ মিলিয়ন ডলার) প্রশিক্ষণ প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
[ad_2]