Press "Enter" to skip to content

‘ভোলা যাচ্ছে না” পুনীতের মৃত্যুর পর আত্মহত্যা ৭ ভক্তের, চোখ দানের জন্য প্রাণ দিয়েছে তিনজন

[ad_1]

ব্যাঙ্গালুরুঃ কন্নড় অভিনেতা (Kannada Actor) পুনীত রাজকুমার (Puneeth Rajkumar) প্রয়াত হয়েছেন প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল, কিন্তু ওনার ভক্তরা সেই শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। কর্ণাটকে (Karnataka) এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তাঁরা সবাই নিজের প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুর শোক সামলাতে না পেরে মারা গিয়েছেন। এছাড়াও আত্মহত্যারও কয়েকটি মামলা প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু তাই নয়, সুপারস্টারের পদচিহ্নে চলতে গিয়ে তিনজন নিজের প্রাণ বিসর্জন করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, রাজকুমারের মৃত্যুর পর রাজ্যে চক্ষুদানের সংখ্যা বেড়েছে। যদিও, প্রয়াত অভিনেতার বাড়ির লোক সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন।

কর্ণাটকে দায়ের হওয়া ১০টির মধ্যে ৭টি মামলা আত্মহত্যার। আর তিনজনের মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হয়েছে। এছাড়াও তিনজন রাজকুমারের পদচিহ্নে চলে চক্ষু দান করার জন্য নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন। ৩ নভেম্বর দুমকুরের বাসিন্দা ভরত ফাঁসিতে ঝুলে যান। সুইসাইড নোটে ভরত লিখেছিলেন, ‘আমি আপ্পুর চলে যাওয়ার দুঃখ সহ্য করতে পারছি না। আমিও ওনার সঙ্গে থাকার জন্য চলে যাচ্ছি। ওনার মতো আমার চোখও দান করে দিও।”

অন্যদিকে, কর্ণাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা রাজেন্দ্রও নিজের চক্ষু দানের জন্য আত্মহত্যা করেন। উনি ৩১ অক্টোবর নিজের ঘরেই ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন। রামনগর জেলার চন্নাপটনার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী ভেঙ্কটেশ ৪ নভেম্বর আত্মহত্যা করেছেন। পরিজনেরা জানান, ভেঙ্কটেশ নিজের প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুতে শোকে কাতর ছিল। আর কদিন ধরে সে খাওয়া দাওয়া করছিল না।

কর্ণাটকের নেত্রালয়ের ডাক্তার ভুজঙ্গ শেঠি জানিয়েছেন যে, পুনীতের মৃত্যুর পর রাজ্যের বহু মানুষের মধ্যে চক্ষু দানের প্রবণতা বেড়েছে। উনি জানান, আগে হাসপাতালে খুব বেশি হলে এক মাসে ৫০ থেকে ১০০টি আবেদন আসত। কিন্তু এখন তিন-চারদিনের মধ্যেই ১০০-র বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

[ad_2]