[ad_1]
এই বছর ভারত (India) এর প্রজাতন্ত্র দিবস আন্তর্জাতিক মঞ্চে খুবই চমকপ্রদ। কারণ -এই বারের প্রজাতন্ত্র দিবসে মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের কিরগিজস্থান, কাজাকিস্তান, তুকমেনিস্থান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্থানের প্রধানমন্ত্রীরা ভারতে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন। 27 শে জানুয়ারি তাদের সাথে এক মিটিং অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এই মিটিং এ ভারতের সাথে মধ্য এশিয়ার এই দেশগুলোর দু বছরে একবার সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এই মিটিংয়ের সময় কাল অনেকদিন আগে থেকে স্থির করা আছে কিন্তু হটাৎ এর মধ্যে এক নতুন খবর সামনে আসে।
ভারতের পদক্ষেপে ভয় পেল চীন
চিন এর (China) রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ঘোষণা করেন যে চিন ও মধ্য এশিয়ার এই পাঁচটি দেশ 25 শে জানুয়ারি তাদের 30 তম অ্যানিভারসারি ভার্চুয়ালি পালন করবেন। যা ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিটিং এর খবরের ঘাবড়ে গিয়ে জিনপিং সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতের সামিটটাকে কোণঠাসা করার জন্য চিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমনকি চিনা মিডিয়াও বার বার ভারতকে আক্রমণ করেছে। আসলে ভারত ও মধ্য এশিয়ার একটা বৃহৎ পরিকল্পনা চিনের উপর একটা ভীতির সঞ্চার করেছে। চিনের গণমাধ্যমের মতে উচ্ছাকাঙ্খি ভারত মধ্যএশিয়া কে নিয়ে ভুল ভাবনা পোষণ করেছে। চিন মধ্য এশিয়ার এই পাঁচটি দেশকে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিজের পশ্চাৎভূমি ভাবে।
হাত মিলিয়েছে ভারত রাশিয়া
বর্তমানে চিন প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে যা রাশিয়ার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিনের জন্য রাশিয়া অনেক সুবিধা পায় যেমন আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে রাশিয়া চিনের সাহায্য পায়, রাশিয়া ও চীনের ব্যাবসায়িক সম্পর্ক ভালো, রাশিয়া চীনকে প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করে। কিন্তু রাশিয়াও জানে যে চিন যে ভাবে উন্নতি করছে তার প্রভাব পড়বে মধ্য এশিয়াতে এবং নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রাশিয়াতে। অর্থনৈতিক ও ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে দেখলে চিনের সাথে মধ্যে এশিয়ার বাণিজ্য অনেক বেড়ে গেছে (40-50 বিলিয়ন ডলার)।
সেখানেই ভারতের চার মিলিয়ন ডলারও নেই এবং রাশিয়ার পঁচিশ ডলারের কাছাকাছি রয়েছে। ব্যাবসার দিক থেকে মধ্য এশিয়া সম্পূর্ণভাবে চিনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। 1990 সালে যখন থেকে সোভিয়েত রাশিয়া ইউনিয়ন ভেঙেছে তখন মধ্য এশিয়ার কোনো অস্ত্র প্রয়োজন হলে তা যোগান দিত রাশিয়া। কিন্তু চিনের কমাগত উন্নতি দেখে এই দেশ গুলো রাশিয়া থেকে অস্ত্র না নিয়ে চিনের কাছে থেকে অস্ত্র কিনতে থাকলো। এখন চিন ও রাশিয়া অস্ত্র বিক্রেতার দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেছে।
এমনিতে বর্তমান সময়ে চিন রাশিয়ার থেকে অনেক বেশি অস্ত্র রপ্তানি করে। অস্ত্র বিক্রির দিক থেকে চিনের খদ্দের হলো পাকিস্তান সহ, এই মধ্য এশিয়ার দেশগুলো ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ গুলো। সেই কারণে এবার মধ্য এশিয়াতে চিন কে কোণঠাসা করার জন্য ভারত ও রাশিয়া একত্র হয়েছে। যাতে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে প্রতিরক্ষা খাতের সমস্ত অস্ত্র এই দুই দেশ মিলে করে এবং রাশিয়া তার পুরনো জায়গা যাতে ফিরে পাই। ভারত আখানে লাইন অফ ক্রেডিট হিসেবে সফট লোন দেবে যার নন-পেপার অনেক দিন আগে সাক্ষর হয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো ঘোষণা না হলেও ভবিষ্যতে ভারত ও রাশিয়া মিলে প্রতিরক্ষার অস্ত্র-সস্ত্র বিক্রি করবে। যেটা আটকাতে চিন অনেক চেষ্টা করবে। তাই এখন যখন ভারত মধ্য এশিয়ার সাথে সামিট ঘোষণা করলো তার ঠিক একদিন আগেই সামিট ঘোষণা করে দিলো চিন।
[ad_2]