[ad_1]
নয়া দিল্লিঃ চীনের (China) অধিকাংশ শহরের সুপারমার্কেটের বাইরে অজস্র মানুষের ভিড় পড়ে যায়। আতঙ্কিত মানুষদের মধ্যে বেশি করে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার হিড়িক দেখা দেয়। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সামগ্রী না থাকায় গ্রাহক আর সুপারমার্কেটের কর্তৃপক্ষকে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। গ্রাহকদের মধ্যে সামগ্রী নেওয়ার প্রতিযোগিতায় মারপিটও বেঁধে যায়।
এই সব হয়েছে সরকারের একটি নির্দেশের পর। সরকার দেশের মানুষকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী স্টক করার নির্দেশ দেওয়ার পরই সবাই আতঙ্কে সুপারমার্কেটের দিকে ছুট লাগায়। চীনের সরকারের মতে, করোনার সম্ভাবিত বিপদ দেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনে বেড়ে চলা করোনার নতুন মামলার কারণে সরকারের ঘুম উড়েছে। শীতকালে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সরকার সবাইকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী স্টক রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের এই নির্দেশের পরই অবস্থা সংকটজনক হয়ে ওঠে। সবাই বেশি বেশি করে সামগ্রী কিনে রাখার প্রচেষ্টা করে। চাহিদা আর সাপ্লাইয়ের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ থাকায় সবাইকেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
China is encouraging people to stockpile food which has resulted in mass panic buying. Many items are sold out and people are fighting over bags of food. It's unclear the real reason the Chinese government is encouraging this behavior. pic.twitter.com/gzdiBfzFYc
— 974Rebelion
(@JohnWick97440) November 7, 2021
https://platform.twitter.com/widgets.js
শুধু সুপারমার্কেটে গিয়েই সামগ্রী কেনার হিড়িক পড়েনি। অনলাইনেও চীনারা বিপুল পরিমাণে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী অর্ডার দিতে থাকে। আলিবাবা ই-কমার্স সাইটে চাল, সোয়া সস, চিলি সসের ডিমান্ড ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় বিক্রেতাদেরও স্টক খালি হয়ে যায়।
খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মজুত রাখার সরকারি নির্দেশের পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জল্পনা এও উঠছে যে, চীন তাইওয়ানের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার এও শোনা যাচ্ছে যে, করোনার বর্ধিত মামলার কারণে চীন ফের দেশে আরও একবার কড়া লকডাউন ঘোষণা করতে পারে। অন্যদিকে, সরকার জানিয়েছে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই, এটা সতর্ক থাকার জন্য করা হয়েছে মাত্র।
[ad_2]