রাজনীতির জন্য কংগ্রেস কতটা নিচে নামতে পারে তা এই ৪ বছরে ভালো রকম বুঝতে পেরেছে দেশের জনগণ। সে রকম ভাবেই কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী করে বসলেন এমন এক মন্তব্য যেটা পুরো দেশকে তোলপাড় করে তুললো। তিনি ২০১৪ সালে ভোটের প্রচারের জন্য একটা জনসভা করেন সেখানে তিনি শুধু মাত্র ভোটের লোভে বলেন যে মহাত্মা গান্ধী কে খুন করেছিল আর এস এসের লোকেরা।
তার এই মন্তব্যর বিরুদ্ধে এক আর এস এস কর্মী প্রতিবাদ করেন এবং তিনি রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। আসলে রাহুল গান্ধী ভোটের লোভে মিথ্যা প্রচার করতে গিয়ে এভাবে জালে পড়ে যাবেন তা ভাবতে পারেনি কংগ্রেস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয় এবং চার্জ গঠিত হয়।। সেই মামলা টি করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি কোর্টে।। সেই মামলা কে রাহুল গান্ধী চ্যালেঞ্জ করেন এবং তিনি দেশের শীর্ষ আদালত যান।।
২০১৬ সালে শীর্ষ আদালত জানান যে কোনো সংগঠনের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ করা কারুর উচিৎ নয়।। এবং তারা রাহুল গান্ধী কে Warning দেন তিনি যদি তার মন্তব্য এর জন্য ক্ষমা না চান তাহলে তাকে আদালতঘটিত বিচারের মুখোমুখি পরতে হবে। সেই অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল রাহুল গান্ধী কে আদালত হাজিরার নির্দেশ দেন। তিনি সেই দিন না যাওয়ার জন্য আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ই অগাস্ট হবে বলে জানান।
আরও পড়ুন- কেন দিল্লিবাসীর কাছে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করবেন কেজরিওয়াল ?
এখন এই বিষয়ে কংগ্রেস সমর্থকদের মনে এই চিন্তা জাগা দিয়েছে যে শেষ অবধি রাহুল গান্ধী ২০১৯ এ নির্বাচন লড়তে পারবেন কিনা। যদি আদালত রাহুল গান্ধীকে সাজা শোনাতে গিয়ে তার নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেয় তাহলে কংগ্রেস দলের অস্থিত একেবারে মুছেই যাবে। কারণ কংগ্রেস দল সম্পূর্ণভাবে একটা পরিবার ভিত্তিক পার্টি যার বর্তমান মহারাজা রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন- তৃণমূল শুন্য করে বিজেপিতে যোগ!জানেন কোথায় ?
[sg_popup id=”7″ event=”onload”][/sg_popup]
Be First to Comment