[ad_1]
ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ও তার স্ত্রী এডবিনা মাউন্টব্যাটেনের ডাইরি তথা চিঠিপত্রকে সার্বজনিক করার দাবি বহুদিন ধরে চলে আসছে। যদিও ব্রিটিশ সরকার একাধিকবার এই সমস্ত তথ্য সার্বজনিক করতে অস্বীকার করেছে। লন্ডনের এক আদালতে লর্ড মাউন্টব্যাটেন এর বিভিন্ন চিঠিপত্র সার্বজনীক করার দাবি উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে বলেছেন এটা ভারত পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভাগের বাড়িয়ে তুলতে পারে। আবার কেউ বলেছেন এটা ইংল্যান্ডের রানীর ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। বিখ্যাত ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ অ্যান্ড্রু লনি 2.5 কোটি টাকা খরচ করে আদালতে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়ছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ হ্যাম্পটন এবং ব্রিটেনের ক্যাবিনেটের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই শুরু করেছেন যাতে পুরানো চিঠিগুলো প্রকাশ্যে আনা যায়। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ বলেছেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন এর সমস্ত চিঠিপত্র সামনে এলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে।
যার মাধ্যমে জানা যাবে ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে মাউন্টব্যাটেন কতটা নিরপেক্ষ ছিলেন এবং জওহরলাল নেহেরুর (Jawaharlal Nehru) সাথে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের কী ধরনের সম্পর্ক ছিল। এর পাশাপাশি রাজপরিবারের বেশকিছু পর্দা ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এই বিখ্যাত ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ। লক্ষণীয় অ্যান্ড্রু লনি সেই ইতিহাসবিদ যিনি মনে করেন, মাউন্টব্যাটনের স্ত্রীর একাধিক অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। যে কারণে তাদের বিবাহিত জীবন মোটেও ভালো ছিল না।
ইতিহাসবিদ অ্যান্ড্রু লনি আরো বলেন, এই ধরনের তথ্য ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। জানিয়ে দি, ২০১১ সালে সাউথ হ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটি মাউন্টব্যাটেনের পরিবারের কাছ থেকে বেশকিছু নথিপত্র কিনেছিল। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় 4.5 মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে রাজপরিবারের থেকে ওই সমস্ত দস্তাবেজ কিনেছিল। তবে পরবর্তীকালে ব্রিটিশ কেবিনেটের আদেশে বেশকিছু নথিপত্র শীল করতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
[ad_2]