Press "Enter" to skip to content

স্ত্রীর ধর্ষণের বদলা নিল স্বামী, ইতিহাসও রাখবে এমন প্রতিশোধ

[ad_1]

গণধর্ষণের অপরাধীদের ভয়ে মানুষ ভয় পায়। কিন্তু এটা এমন একটা ঘটনা যে শুনলে ধর্ষনের উদ্দেশ্য নিয়ে বসে থাকা মানুষের মন কেঁপে উঠবে। স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে এমন শাস্তি দিলেন স্বামী, যা কল্পনাও করেননি অভিযুক্তরা। গ্রামের এক অতি সাধারণ দম্পতির উপর নজর পরে তিনজন নোংরা মানসিকতা সম্পন্ন ব্যাক্তির, তাদের নাম ভানওয়ারলাল পতিদার (54 বছর), লালসিং খাতিজা (35 বছর) এবং দীনেশ (37 বছর) তাদের অনেক দিন ধরেই নজর ছিল ওই গ্রাম এর সাধারণ মহিলার উপর। তারা মনে করে সহজ সরল দম্পতি তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না তাই তারা ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে।

মহিলার চিৎকার শুনে তার স্বামী তাকে রক্ষা করতে আসলে তার স্বামী কে তারা ধমকি দেয় যে যদি তারা পুলিশ এর কাছে গিয়ে কিছু বলে তাহলে তারা তাদের খুন করে ফেলবে। ওই দুষ্ট লোকেদের দাপটে তার স্বামী চুপ হয়ে গেলে ও তার মনের মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে থাকে। তার স্ত্রীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা সে ভুলতে পারিনি। 6 মাস অব্দি সে চুপ করে থাকে ও মাথায় আগুন নিয়ে সে ভাবতে থাকে কিভাবে তার স্ত্রীরর সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় এর কিভাবে প্রতিশোধ নেবে।

সেই সময় একদিন চলেও আসে। 4জানুয়ারী, একজন কৃষক তার ক্ষেতে সেচ দেওয়ার জন্য একটি টিউবওয়েলের টিপছিলেন, কিন্তু বিস্ফোরণে তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। বিস্ফোরণের শব্দ এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা যায়। আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখতে পায়। যে ব্যক্তিই বিস্ফোরণ এ শরীর টুকরো টুকরো হয়ে যায় তার নাম লালসিং খাটিজা। যে ঐ গণধর্ষণ এর একজন অন্যতম অপরাধী।প্রতিশোধ এর আগুনে জ্বলতে থাকা স্বামী সেই নলকূপের জেলেটিন এর কাঠি রেখেছিলেন বোতাম টিপতেই ডিনামাইট এর জোরদার বিস্ফোরণ হয় আর তাতেই তার দেহ টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে প্রতিশোধের কাহিনি প্রকাশ পায় এর এইটি শুনে সবাই অবাক হয়ে যায়। ওই স্বামী এর আগেও ভানওয়ারলালকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তার খামারের নলকূপের স্টার্টারটি ডেটোনেটর এবং জেলটিন সেট করেছিল, কিন্তু জেলটিনের লাঠি ছিল কম। মৃদু বিস্ফোরণ হয় এবং ভানওয়ারলাল রক্ষা পান।

সেই ব্যক্তিটি টিভিতে দেখেছিল যে নকশালরা জওয়ানদের উপর ডেটোনেটর এবং জেলটিন লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। রাতলামে ডিটোনেটর এবং জেলটিন সহজেই পাওয়া যায়। মানুষ কূপ তৈরি এবং মাছ ধরার জন্য এটি ব্যবহার করে। সে সিমলাবাদ গ্রামের বদ্রি পতিদারের কাছ থেকে জেলটিন লাঠি ও ডেটোনেটর কিনেছিল।

দুদিন পুলিশ তদন্তে আসল ঘটনাটি সামনে আসে।ঘটনাটি যেদিন ঘটে সেইদিন পুরো পরিবার নিখোঁজ ছিল। 6 জানুয়ারি তাদের মান্দসৌরের কাছে থেকে ধরা হয়। সে অপরাধ স্বীকার করেছে। তবে অতীতে আসামির স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলার বাকি দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এই রকম ঘটনা খুব কম দেখা যায় যেখানে ধর্ষণ কারি কে শাস্তি দিচ্ছে নিগৃহীত পরিবার।ধর্ষণকারী দের জন্য এটা একটা বড় সতর্কতা তারা দশবার ভাববে এইরকম নোংরা কাজ করার আগে।

[ad_2]