ছিন্দবাড়াঃ মন থেকে কিছু করতে চাইলে, সেই কাজ কোনদিনও ব্যর্থ হয় না। এরকমই কিছু মুশকিল কাজ সহজ করে দেখাল মধ্যপ্রদেশের ছিন্দবাড়ার বাসিন্দা মুশারিফ খান। অষ্টম শ্রেণীতে পড়া মাত্র ১২ বছর বয়সী মুশারিফ ভগবত গীতার ৫০০ শ্লোক ঝরঝর করে বলে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মুশারিফ গীতার শ্লোক শুধু মুখস্ত করে রাখেনি, সে সব শ্লোকের মানে ভালমতই বোঝে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১২ বছর বয়সী মুশারিফ মেমরি রিটেনশন কোর্স করেছে। আর সেই কোর্সের জন্য মুশারিফ ভগবত গীতাকে বেছে নিয়েছে। এখন সে ভগবত গীতার ৭০১ টির মধ্যে ৫০০ টি শ্লোক ঝরঝর করে বলে দেয়। এই স্মৃতি ধারণার কৌশলটি শিখতে মুশরিফকে বৈদিক গণিতের শিক্ষিকা রোহিনী মেনন সহায়তা করেছেন।
শিক্ষিকা রোহিনী মেনন বলেন, স্মৃতি ধারণার কৌশল শিখতে তিনি মুশারিফকে তিনটি বিকল্প দিয়েছিলেন। প্রথম বিকল্পে গোটা ডিকশনারি মনে করতে হত, দ্বিতীয় বিকল্পে সংবিধান আর তৃতীয় বিকল্পে ভগবত গীতা মুখস্ত করতে হত। মুশারিফ তিনটি বিকল্পের মধ্যে ভগবত গীতা বেছে নেয়। শিক্ষিকা বলেন, মুশারিফ ষষ্ঠ শ্রেণী থেকেই ভগবত গীতার শ্লোক মনে রাখা শুরু করেছিল। অনেকেই মুশারিফের মতো ভগবত গীতার বিকল্প বেছে নিয়েছিল। কিন্তু মুশারিফ সবথেকে দ্রুত ৫০০ টি শ্লোক মুখস্ত করে নেয়।
आध्यात्मिक ज्ञान हासिल करने की चाह हो तो धर्म उस रास्ते में बाधा नहीं बनता.
यहाँ पढ़ें : https://t.co/Z59ZMpVZK4#MadhyaPradesh #Inspirational #BhagwadGeeta @ReporterRavish pic.twitter.com/VPO188ZgJr— AajTak (@aajtak) March 1, 2021
https://platform.twitter.com/widgets.js
মুশারিফ জানায়, আমি স্মৃতি ধারণ কৌশলের শর্ট কোর্সের পর আলাদা কিছু করতে চাইছিলাম। আর এই কারণে আমি ভগবত গীতাকে বেছে নিই। মুশারিফ জানায়, আমার মা সবসময় বলে আমরা বাড়ির বাইরে একজন মানুষ মাত্র। তিনি নিজেই আমাকে ভগবত গীতা পড়ার অনুমতি দেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন যে, আমি সব ধর্মের বিষয়ে জ্ঞান রাখি।
বলে রাখি, মুশারিফ শুধু গীতার শ্লোকই না কুরআনের আয়াতও মুখস্ত করে রেখেছে। মুশারিফ জানায়, গীতা, কুরআন আর বাইবেল সব ধর্মগ্রন্থই একই বার্তা দেয়। সবাই বলে মনুষ্যত্ব সবার উপরে। মুশারিফের এই কাজে তাঁর বাবা-মা দুজনেই খুব খুশি। মুশারিফের মা জিনত বলেন, আমরা আমাদের মেয়েকে এমন ভাবে লালন পালন করতে চাই যে, ও যেন বড় হলে ভালো মানুষ হয়, ভালো কথা শেখে।