নয়া দিল্লীঃ গান্ধী পরিবারের (Gandhi Family) মালিকাধিন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে (Rajiv Gandhi Foundation) দান করা দীর্ঘ তালিকা দেখে মনে হচ্ছে যে, এবার কংগ্রেস (Congress) পার্টি আর গান্ধী পরিবার দ্বারা করা আরও একটি দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে গান্ধী পরিবারের গোপন মিটিং আর দানের খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতবছর পর গতকাল জানা যায় যে, চীনের সরকার গান্ধী পরিবারের ফাউন্ডেশনে তিন লক্ষ মার্কিন ডলার দান করেছিল। এবার গান্ধী পরিবারের মালিকাধিন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন নিয়ে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
Big big breaking
PMNRF under Dr MMS not only gave money to Sonia run RGF but in 1991-92 Budget when Dr MMS was FM he sough to give a huge sum to RGF from he Union Budget -it was stalled when there was uproar
Share and expose @pmoindia we need enquiry @navikakumar @rshivshankar pic.twitter.com/s7ViZVBis7
— Shehzad Jai Hind (@Shehzad_Ind) June 26, 2020
https://platform.twitter.com/widgets.js
একটি ট্যুইটে আইনজীবী শেহজাদ পুনাওয়ালা (Shehzad Poonawalla) লেখেন, ১৯৯১-৯২ সালে ভারতের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh) কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নেতৃত্বাধীন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে (Rajiv Gandhi Foundation) পাঁচ বছরে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও অনেক হাঙ্গামার পর এই টাকা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে যায়নি। ১৯৯১-৯২ এ সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেটের চর্চার একটি রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে যে, তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কেন্দ্র সরকারের টাকা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে দান করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় বিরোধী দল গুলো সংসদে হাঙ্গামা সৃষ্টি করে আর তাঁরা জানতে চায় যে, কংগ্রেস সরকার কেন গান্ধী পরিবার দ্বারা চালানো ফাউন্ডেশনে টাকা দিতে চায়?
মনমোহন সিং দ্বারা বানানো ১৯৯১-৯২ এর সালে কেন্দ্রীয় বাজেটের নথিতে একটি বিধান দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে, কংগ্রেস সরকার পাঁচ বছরে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ১০০ কোটি টাকা দান করবে। আর সেই টাকা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, স্বাক্ষরতা প্রচার, পরিবেশ রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর জাতীয় একতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দলিতদের উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কিত গবেষণা ও কর্মসূচি শুরু করা, মহিলা আর প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন, প্রশাসনিক সংশোধন আর ভারতের অর্থনীতি মজবুত করতে ব্যবহার করা হবে।
যদি এইসব কাজের জন্য ১০০ কোটি টাকা কম পড়ে, তাহলে কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে আলাদা করে আরও ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
যদিও বিরোধীদের হাঙ্গামার পর এই প্রস্তাব থেকে পিছিয়ে আসে কংগ্রেস সরকার। আর এরপর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং এটি প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন নিজেই এত বড় সরকারি দান নিতে অস্বীকার করেছেন। মনমোহন সিং এর এই প্রস্তাবের জন্য আজমগড়ের তৎকালীন জনতা দলের সাংসদ চন্দ্রজিত যাদব প্রশ্ন করেছিলেন, মনমোহন সিং কি সংসদে গান্ধী পরিবারের প্রতিনিধি রুপে আছেন? উনি এও বলেছিলেন যে, অর্থমন্ত্রী এই বাজেট পরিবেষণ বালখিল্যপনা ছাড়া আর কিছুই না।