২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন যত সমনে এগিয়ে আসছে তত বিরোধীরা নানারকম ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে মোদী সরকারকে ঘিরে ফেলা যায়। অবশ্য বিরোধীরা যতবারই চেষ্টা করছে তারা ব্যার্থ হচ্ছেন। বিরোধীরা যত চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপিকে হারানোর , ২০১৯ শের আগে রাজ্যের তথা দেশের নানাপ্রান্ত থেকে মানুষ বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করছে ঠিক ততটাই। এরফলে বিজেপির শিকড় পশ্চিমবঙ্গে তত মজবুত হচ্ছে। বর্তমানে নিউজ চ্যানেলে, খবরের কাগজের প্রথম পাতায় শিরোনাম চোখ ফেললেই দেখা যাবে প্রায় দিনই দেশের কোনো না কোনো অঞ্চল থেকে মানুষ বিজেপিতে যুক্ত হচ্ছেন। এর প্রধান কারন হল তোষণ ও দুর্নীতির রাজনীতি ছেড়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বিজেপি যে ভাবে দেশের জন্য কাজ করে চলেছে, দেশকে আর্থিকভাবে ও সামরিক দিক দিয়ে উন্নয়নশীল করে তুলছে তার ফলেই দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। পিছিয়ে নেই আমাদের রাজ্যও। দেশের অন্যান্য প্রান্তের সাথে পাল্লা দিয়ে এখন এ রাজ্যেও বাড়ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক। জানিয়ে দি, আজ বর্ধমানে বঙ্গবিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বর্ধমানে সভা করেন যেখানে বিরোধি দলের ৭৫০ জন সক্রিয় কার্যকর্তা বিজেপি যোগ করেন।
এরা সকলেই দিলিপ ঘোষের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগদান করেন। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার এই যে এরা প্রত্যেকেই বিরোধী দলের সক্রিয় কার্যকর্তা ছিল। দিলীপ ঘোষ নিজে টুইট করে বিষয়টি জানিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ TMC পার্টির উপর আক্রমণ করতে গিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী ও অসামাজিক ব্যাক্তিদের পার্টি বলে উল্লেখ করে দেন। সভাতে দিলীপ ঘোষ বলেন, TMC একটা জঙ্গি ও অসামাজিক গতিবিধি চালানো ব্যাক্তিদের পার্টিতে পরিণত হয়েছে।
যার জন্য কুচবিহার থেকে কাকদীপ কোথাও শান্তি বিরাজ করছে না। TMC ও CPM সহ নানা দল থেকে প্রায় ৭৫০ জন কার্যকর্তা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দিলীপ ঘোষ টুইট করে খুশি ব্যাক্ত করেছেন। এক নিউজ পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী এই ৭৫০ জনের মধ্যে ৫০০ জন কার্যকর্তা তৃণমূলের ছিল বাকি ২৫০ জন CPM ও কংগ্রেসের।বিজেপিতে ৭৫০ জন কার্যকর্তা যোগ দেওয়া খুশি প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সমর্থকরাও।