ফের একবার রাজ্যে আসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শোনা যাচ্ছে যে দুর্গাপূজা ও কালিপূজার মাঝখানেই তিনি আসবেন। তবে বিজেপির রাজ্য কমিটির কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন যে, তিনি দুর্গাপূজার আগেই রাজ্যে আসবেন। পূজোতে তিনি রাজ্যে এলে একবছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালেই তার টানা তিনবার রাজ্য সফর করা হবে।
বাঙালির প্রানের পূজো আর সর্বভারতীয় সভাপতি আসবেন না তাই কখন হয়। কিন্তু অমিত জির রাজ্যে আসার পিছনে অপর এক কারন হল মুখ্যমন্ত্রী পূজাকমিটি গুলিকে ১০ হাজার টাকা করে দেব বলে যেভাবে কাছে টেনে নিয়েছেন, সেই খবর পেয়েই তিনি হয়ত কিছু আন্দাজ করতে পেড়েছেন। তাই তিনি পূজার আগের মমতার পাসার চাল উলটে দিতে রাজ্যে আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এর আগে তিনি জুলাই মাসে রাজ্যে এসেছিলেন। তখন তিনি রাজ্যে এসে পুরুলিয়াতে একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি ভাষনে অংশ নেন। তিনি সেখানকার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন যে, এবার এই রাজ্য থেকে ২২ টি আসন পাওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি নামবে। এরপর ১১ আঅগাস্ট রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার আয়োজন করা কলকাতার মেগা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানে গিয়েও তিনি নিজের মত করে রাজনৈতিক ভাষন দেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত জি শহরের মেয়ো রোডে ভাষন দেওয়ার সময় রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস কে আক্রমণ করে বলেন যে, মমতার সরকার রাজ্যের মানুষকে ২ টাকা কেজি চাল না দিয়ে আগে রাজ্যের মানুষের রোজকার নিশ্চিত করুক, কারন রোজকার না থাকলে সেই ২ তাকা কেজি চালও মানুষ কিনতে পারবেন না। এই মঞ্চ থেকেই তিনি ডাক দেন যে, তৃনমূল কংগ্রেস কে উপড়ে ফেলে দেওয়ার।
তবে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই অমিত জি কে দুর্গাপূজাতেও চাইছেন। তারা বলেন যে, অমিত জি পূজোতে রাজ্যে এসে রাজ্যের পূজা কমিটি গুলির সাথে সময় কাটাবেন। ঢাক বাজাবেন মন্ডপে মন্ডপে, সাথে একটু ধুনুচি নাচও করবেন। বাংলার মানুষ সেটা দেখার জন্যই উৎসাহি। অমিত জির এই কাজ গুলি রাজ্য রাজনীতিতে একটা চমৎকার উদাহরণ হয়ে ফুটে উঠবে, কারন কিছু দিন আগে মমতা ব্যানার্জি দাবি করেন যে, বিজেপি একটা ভূয়ো পার্টি তারা হিন্দু সেজে ভোট কুড়াচ্ছে শুধু, এমন পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে অমিত জির এই কাজ মমতার সব মিথ্যা পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেবে।
#অগ্নিপুত্র