ভারতরত্ন পূর্ব প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির দ্বিগজ নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী ৯৩ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার দিন বিকেল ৫.০৫ এ দিল্লির এমসে অটল বিহারি বাজপেয়ী অন্তিম নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধেই উনার পার্থিব শরীরকে উনার আবাস কক্ষে রাখা হয়েছিল যেখানে সকলে উনাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। শুক্রুবার সকাল ৯ টেই উনার শরীরকে ভারতীয় জনতা পার্টির মুখ্যালয় নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে সাধারণ মানুষের সাথে ভিআইপি মানুষজন উনার শেষ দর্শন করেন।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্মৃতি স্থল পৌঁছে যায়। এই অন্তিম যাত্রা বিজেপি মুখ্যালয় থেকে রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থল পর্যন্ত চলে। অন্তিম যাত্রায় লক্ষাধিক মানুষ পায়ে হেঁটে অন্তিম যাত্রার সাথে যান। উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে এই যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি অধ্যক্ষ অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফার্নাবিশ সহ বিজেপির অনেক দ্বিগজ নেতারা অটলবিহারী বাজপেয়ীর পার্থিব শরীরের গাড়ির সাথে পায়ে হেটে যাত্রা করেন।
প্রধানমন্ত্রী সহ এই নেতারা সাধারণ মানুষের সাথে পায়ে হেঁটে বিজেপি মুখ্যালয় থেকে স্মৃতি স্থল পৌঁছান। এর আগে অটলজির নিধনের খবর শোনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাবুক হয়ে পড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ স্বর ও শব্দ দেওয়া আমাদের সবার প্রেরণা স্রোত অটল বিহারী বাজপেয়ী আর আমাদের মধ্যে নেই। বাজপেয়ী এর রূপে ভারতবর্ষ অমূল্য অটল রত্ন হারিয়েছে। অটলজির বিরাট ব্যাক্তিত্ব ও উনার চলে যাওয়ায় দুঃখ দুটোই সীমার বাইরে। উনি একজন জননায়ক, প্রখর বক্তা, তেজস্বী কবি, পত্রকার, প্রভাবশালী অন্ত্ররাষ্ট্রীয় ব্যাক্তিত্বের ধনী ও সবার উপরে মা ভারতীয় সৎ সুপুত্র ছিলেন।’
আপনাদের জানিয়ে দি অটলজিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি কখনো গুরু বলেননি ঠিকই। কিন্তু অটল ও আদবানীর জন্যেই নরেন্দ্র মোদী আজ প্রধানমন্ত্রী একথা তিনি বহুবার ব্যাক্ত করেছেন। পার্টির বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হোক বা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীকে বসানো হোক কোনো ক্ষেত্রেই অটলজি খামতি রাখেননি। নরেন্দ্র মোদীর ভেতরের উত্থিত শক্তিকে দেখে যখন উপলদ্ধি করে বাম পন্থীরা ও কংগ্রেসিরা বিশ্বজুড়ে দুর্নাম ছড়াতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছিল তখনও পাশে দাঁড়িয়ে সংকটমুক্ত করেছিলেন অতল বিহারী বাজপেয়ী।