নেতাদের বাজে বক্তব্য ও ব্যাবহারের জন্য বার বার নাক কাটা পড়ছে তৃণমূল পার্টির। তাপস পাল থেকে শুরু করে অনুব্রতের মতো বড়ো বড়ো নেতারা খোলাখুলি বাজে মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসার ঘটনা এখনো সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। জয়া দত্ত যিনি একজন নামকরা তৃনমূল নেত্রী। এর আগেও এই জয়া দত্তের নাম অনেকবার খবরের শিরনামে উঠে এসেছিল। কখন তোলাবাজি তো কখন দলবাজি। একাধিক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে তবে এবার অন্য অভিযোগ প্রকাশ্যে এল এই তৃনমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। পাপ্ত খবর অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার জেলার অন্তগত হাবড়ার প্রফুল্লনগরে কিছুদিন আগে তিনি এক গাড়ির চালকের সাথে বসচায় জড়িয়ে পড়েন। সেই ঘটনার সময় জয়া দত্তের পরনে ছিল হাফপ্যান্ট ও টি-শার্ট। তিনি আঙুল উঁচিয়ে শাসাচ্ছিলেন সেই গাড়ির চালককে।
সেই ঘটনাটি ক্যামেরা বন্দি হয় রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ঘটনার সময় তিনি আবার মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসকদলের ছাত্রনেতার কীর্তিতে। এই ঘটনার পর ২৪ পরগনা জেলার তৃনমূল নেতৃত্ব বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন। জয়া দত্তের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
এর আগেও এই জয়া দত্ত নানান বিতর্কে জড়িয়েছেন। তার সমালোচনাও করা হয় অনেক। তোলাবাজি কমাতে না পারার অভিযোগে তাকে সরানো হয় টিএমসিপি থেকে। কিন্তু সেই জয়া দত্তকে দিয়েই আবার ২৮ তারিখ ছাত্র সমাবেশ করানো হয়। এখানেও উঠে আসছে বিতর্ক। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে, এই ঘটনার ফলে আবার মুখ পুড়লো তৃনমূল কংগ্রেসের।
আপনাদের সুবিধার্থে সেই ভিডিওটি দেওয়া হল।
কিছুদিন আগেই বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মন্ডল সাংবাদিকদের সামনেই অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করেন। শুধু তাই নয় বিজেপির সদস্যদের গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন অনুব্রত মন্ডল, যারপর বিজেপি অনুব্রতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তোলে।যদিও সরকার বা তৃণমূল পার্টি এখনো অবধি কোনো একশন নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।
#অগ্নিপুত্র