তৃনমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি দীঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, তিনি দল চালানোর জন্য অন্য কারুর সাহায্য নেন না। তিনি তার দল সম্পূর্ণ নিজের টাকায় চালান। অর্থাৎ তিনি তার লেখা বই বিক্রি করে যে টাকা উপার্জন করেন সেই টাকা দিয়ে এবং তিনি ছবি একেঁ যে লাভ পান সেই লাভ্যাংশ দিয়েই পার্টি চালান। মমতার এই দাবি সঠিক কি না সেটা ক্ষতিয়ে দেখার জন্য তদন্তে নামছেন সিবিআই। তাই সিবিআই এর নজরে এবার মমতার নিজের আঁকা ছবি বিক্রি ও তিনি যে অর্থ পান সেই অর্থের উৎস। রাজনীতি ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে দাবি করেন যে, তিনি একজন চিত্রকর এবং লেখিকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি তার আঁকা সেই ছবি অনেক পরিমান অর্থ দিয়ে ক্রয় করেছেন।
রাজ্যে সারদা কান্ড হয়েছে সেই সারদায় টাকা রেখে রাজ্যের অনেক গরিব মানুষ নিশ্য হয়ে গেছেন। তাদের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে তারা সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। সেই সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এর আঁকা একটি ছবি ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। এছাড়াও রাজ্যের অনেক মানুষ রোজভ্যালি কান্ডেও জরজ্জরিত হয়ে পড়েছিলেন সেই রোজভ্যালির কর্মধার গৌতম কুন্ডু ও আরেক অসাধু ব্যাবসায়ী শিবাজী পাঁজাও মমতার আঁকা ছবি কিনেছিলেন ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে।

এবার সিবিআই তদন্তে নেমে শিবাজী পাঁজা কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, মমতার এইসকল ছবি কেন এত টাকা দিয়ে কেনা হল? কোথা আসে এই সমস্ত ছবি কেনার টাকা? তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে জানান যে, ব্যাবসার লাভের অংশেই তিনি এই সমস্ত ছবি কিনেছেন। তিনি যত টাকা দেন তৃণমূলের মুখপত্রের অ্যাকাউন্টে চলে যায় সেই সমস্ত টাকা। কিন্তু কেন তিনি এত টাকা দিয়ে এইসব ছবি কিনেন তার ঠিকঠাক কোনও উত্তর এখন পাওয়া যায় নি।

জানা গিয়েছে যে, এই ইস্যুতে আরও বেশ কয়েকজন রাঘব বোয়াল কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এবং আরও জানা যাচ্ছে যে, ২০১৯ শের ভোটের আগেই এই বিষয়ে আসল সত্য সবার সামনে আনবে সিবিআই। ইতিমধ্যেই তৃনমূল শিবিরে এই ব্যাপার নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি অনেকের।
#অগ্নিপুত্র