সরকারী প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করে কোটিপতি হওয়া যায়, এই কথা আপনি মিথ্যাও ভাবতে পারেন। কিন্তু গুজরাটের এক কৃষক এরকমই কিছু করে দেখাল। ওই কৃষক সরকারী প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করে চাষাবাস করে ৩০ কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন। ওই কৃষক নিজের সফলতার শ্রেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়েছেন। ওই কৃষকের অনুসারে, সরকার তাঁকে সাহাজ্য না করলে সে এরকম ভাবে চাষাবাস করতে পারত না। আর এত টাকাও কামাতে পারত না।

গুজরাটের ভরুচ জেলার হান্সোট তালুকার কান্টাসায়ন গ্রামে অলকেশ ভাই প্যাটেল চন্দন কাঠের চাষ শুরু করেন। অলকেশ ২০১০-১১তে স্থানীয় বিধায়ক আর মন্ত্রী ইশ্বর সিং প্যাটেল এর সাহাজ্যে বনবিভাগের থেকে চন্দন গাছের চারা নিয়েছিল। তারপর সে দুই একর জমিতে সাদা চন্দনের চাষ শুরু করে। এখন সেই চন্দনের ছোট ছোট চারা গুলো বড় গাছে পরিণত হয়েছে, আর সেগুলোর দাম আনুমানিক ৩০ কোটি টাকা হয়ে গেছে।

অলকেশ জানায়, ২০০৩ সালে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে একটি বড় ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের একটি জেলা বাদ দিয়ে সব জেলায় চন্দনের চাষকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। বিধানসভায় আইন এনে এই সিদ্ধান্তকে পাশ করানো হয়।
ওই আইন অনুযায়ী প্রতিটি কৃষকই তাঁর চাষের জমিতে চন্দনের চাষ করতে পারবে। চন্দনের একটি গাছ বাজারে বেচার সময় সরকারকে প্রতিটি গাছ হিসেবে ২০ টাকা রয়ালটি দিতে হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করে অলকেশ সাদা চন্দনের গাছ লাগিয়ে ৩০ কোটি টাকা কামিয়ে নেন।