বিশ্বের মধ্যে সবথেকে সহিষ্ণু জাতি বলে কোনো জাতি থেকে থাকে তাহলে তা হলো হিন্দু। এই কথাটি এই জন্যেই বলছি কারণ হিন্দু সংখ্যা যেখানে যেখানে কমেছে সেখানে সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা শেষ করে দেওয়া হয়েছে এবং হিন্দুদের উপর চালানো হয়েছে অত্যাচার। সম্প্রতি আফগানিস্তানে এক হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের উপর হামলা করে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আপনাদের জানিয়ে রাখি আফগানিস্থান কোনো আরবের দেশ নয়, আফগানিস্থান আগে ভারতের অংশ ছিল।
১০ম শতাব্দীতে আফগানিস্থানে হিন্দু আর শিখ ছাড়া অন্য কোনো সম্প্রদায় ছিল না। কিন্তু আজ আফগানিস্থানে ৯৯% এর বেশি মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। যদি আমরা পুরানো যুগের কথা ছেড়ে আধুনিক যুগের কথা বলি তাহলে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ১০ লাখ হিন্দু ও শিখ ছিল এবং প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকছি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল। এবার ১৯৭০ সালে হিন্দু ও শিখের মত সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৭ লক্ষ এবং বৌদ্ধ এর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ০০। যেখানে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়তে থাকে সেখানে ১০ লক্ষের হিন্দু হয়ে দাঁড়ায় ৭ লক্ষ। হয়তো ভাবছেন যে ৩ লক্ষ হিন্দু শিখ কি তাহলে কোথাও উড়ে গেল নাকি জমি গিলে নিল! না আসলে তিন লক্ষ হিন্দু শিখকে কট্টরপন্থী জিহাদিরা শেষ করে ফেলেছিল। এবার ১৯৯০ আসতে আসতে হিন্দু ও শিখের মোট সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ এবং ১৯৯৫ সালে হিন্দু ও শিখের সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার। ২০১৮ আসতে আসতে এই ২০-২৫ বছরে শিখদের সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩০০ যার মধ্যে ১৭ জন কয়েকদিন আগে শেষ করে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ শিখের সংখ্যা এখন ৩০০ এরও কম। অন্য দিকে হিন্দুর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৭০০ যার মধ্যে ৩ জনকে কয়েকদিন আগেই মেরে ফেলে কট্টরপন্থীরা অর্থাৎ বর্তমানে হিন্দুর সংখ্যা ৭০০ এরও কম।
এখন আফগানিস্থান সংখ্যায় ১০০০ এরও কম রয়েছে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাহলে কোথায় গেল লক্ষ লক্ষ হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ? লজ্জার ব্যাপার এই যে ভারতবর্ষ এ হিন্দুদের বড় জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া কেউ প্রতিবাদ জানায়নি। দেশের যেসব মিডিয়া সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের জন্য মাসের পর মাস মরা কান্না লাগিয়ে রাখে তারাও পর্যন্ত আজ চুপ।