ভারত ও জাপান সোমবার দিন ৭৫ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। এটা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে বড়ো currency Swap Agreement(CSA) যার ফলে দেশে বিদেশি মুদ্রা ও পুঁজি বাজারে স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাপান সফরে এই চুক্তি করেছেন। দেশের পুঁজিকে দেশের বাইরে যেতে আটকানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এটা ভারতীয় বাজারে ভরসা যোগাবে। ২০ টির বেশি দেশ রয়েছে যাদের সাথে ভারত কাররেন্সি স্বাপ এরেঞ্জমেন্ট(CSA) করে। এর মাধ্যমে দেশগুলি ডলার বা ইউরোর বদলে স্থানীয় মুদ্রায় ব্যাবসা করে। এরফলে বিদেশি মুদ্রার এক্সচেঞ্জ এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন : মিশন 2019 : বাংলা জয়ের লক্ষ্যে মমতাকে চক্রবুহ্যতে ফাঁসানোর প্ল্যান বানালেন অমিত শাহ
জানিয়ে দি আন্তর্জাতিক চুক্তি ইউরো বা ডলারে করা হয় এর ফলে এই দুই মুদ্রার কোনো একটার দুর্বল হওয়ার প্রভাব সবদেশেই পড়ে। এই প্রভাব থেকে বাঁচবার জন্যই নরেন্দ্র মোদী CSA এর উপর জোর দিয়েছেন। ভারত আরো ২০ টি দেশের সাথে এই চুক্তি করেছে কিন্তু এটা এখন পর্যন্ত সবথেকে বড়ো চুক্তি। নিজস্ব মুদ্রায় চুক্তি করার ফলে দুই দেশের বাণিজ্যিক চুক্তি আরো মুজবুত হও এবং সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়। এই CSA এর দরুন মাল আমদানি রপ্তানিতে দুই দেশের আগে থেকে নির্দিষ্ট করা মুদ্রার উপর ব্যাবসা চলে, অন্য কোনো তৃতীয় দেশ বা তৃতীয় কারেন্সিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়না।

এতে আরো একটা বড়ো লাভ হয় তা হলো বিদেশি মুদ্রার এক্সচেঞ্জ থেকে বেঁচে যাওয়া। অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, ইরান, ইরাক, ওমান, কাতার, ভেনিজুয়েলা, সৌদি আরব ও ইয়েমেন এর মত তেল বেঁচা দেশ গুলির সাথে CSA রয়েছে। জাপান, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং থাইল্যান্ডের সাথে ভারতের CSA রয়েছে। এই চুক্তির ফলে ভারতীয় মুদ্রা দুর্বল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং আমদানি- রপ্তানি বেশি ব্যয়বহুল হবে না।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার এই যে এটা বিশ্বের সবথেকে বড়ো CSA চুক্তি যাতে ভারতীয় বাজার জোর পাবে। ভারতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় সঠিক রেখে ভারতের বাজারকে রমরমিয়ে চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন বড়ো পদক্ষেপ নিয়েছে।