কেরালার বামপন্থী সরকার হিন্দুদের দমন শুরু করে দিয়েছে। সবরিমালা মন্দিরের ইস্যুতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজায়ান পুলিশের বরিষ্ট আধিকারিকদের সাথে মিটিং এ বসেছিল। তারপর থেকে ১৪০০ ধর্মপ্রাণ হিন্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সমস্তকিছু সবরিমালা মন্দিরের ভক্ত। ২০০০ এর মতো হিন্দুদের উপর কেরালার সরকার মামলা দায়ের করেছে। যে বামপন্থীরা দিল্লিতে মোদীর শাসনে লোকতন্ত্র বিপদে আছে বলে দাবি করে, সেই বামপন্থীরা কেরালায় ক্ষমতার অপব্যাবহার করে হিন্দুদের দমন শুরু করেছে। ১৪০০ হিন্দুকে গ্রেপ্তার করে নেওয়া হয়েছে। কেরালা মিডিয়া ও দেশের বেশিরভাগ মিডিয়া বামপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে তাই এই ব্যাপারে কিছু মিডিয়া মুখ বন্ধ করে রেখেছে। কিছু মিডিয়া এই ইস্যুতে হিন্দুদের অপরাধী দেখিয়ে প্রচার করছে এবং হিন্দু দমনকে উচিত কাজ বলে দাবি করছে।
জানিয়ে দি, সবরিমালা মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছে যে ওই মন্দিরে মহিলারা প্রবেশ করতে পারবেন। মন্দিরের বহু প্রাচীন নিয়ম ভেঙে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে এমন কিছু কিছু বিশেষ মন্দির আছে যেখানে কোথাও পুরুষ প্রবেশ নিষেধ আবার কোথাও নারী প্রবেশ নিষেধ। তার মধ্যে সবরিমালা মন্দির একটা। এখানে কোনো পুরুষ বিদ্বেষী/ নারী বিদ্বেষীর ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি সমস্থ হিন্দুরাই পালন করেন।
কিন্তু বিশেষকিছু অন্য ধর্মের মানুষ হিন্দুদের আস্থায় আঘাত দেওয়ার জন্য কেরালার সরকারের সাথে মিলে অন্য ধর্মের মহিলাদের প্রবেশ করানো চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য হিন্দু মহিলারা আদালতে রায়ের বিরূদ্ধে পথে নেমেছিল। অর্থাৎ হিন্দু মহিলারা মন্দির প্রবেশের বিরুদ্ধে থাকলেও বামপন্থী সরকার অন্য ধর্মের মহিলাদের জোর করে ঢুকিয়ে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
এখন কেরালার সরকার মন্দিরের ভক্তদের উপর ভয়ানক দমন শুরু করেছে যাতে জেল থেকে বেরোনোর পর মন্দির রক্ষার কথা তারা আর ভাবতে না পারে। সিপিএম একটা বামপন্থী পার্টি যারা কেরালায় হিন্দুদের উপর চরম অত্যাচার শুরু করেছে। কেরালার বিরোধী দলে থাকা বিজেপি এই ইস্যু নিয়ে আদালতে যাওয়ার সিধান্ত নিয়েছে।