ভারতীয় সেনা গতকাল জম্মুকাশমীরের কুপবাড়াতে ইসলামিক আতঙ্কবাদী মান্নান বাণী ও তার ২ সাথীকে মেরে ফেলেছে। ভারতীয় সেনা ৩ আতঙ্কবাদী আজাদী দিয়ে দিয়েছে। মান্নান বানীকে যখন এনকাউন্টার করা হচ্ছিল তখন কাশ্মীরের প্রায় ৫০০ মুসলিম বেরিয়ে এসে সেনার উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু সেনা এদের উপর নিয়ন্ত্রণ করে মান্নান বাণী সহ আরো ২ আতঙ্কবাদীকে শেষ করে দেয়। মান্নান বাণী কাশ্মীরের বাসিন্দা যে আলীগড় ইউনিভার্সিটি থেকে বহুদিন পড়াশোনা করেছে। যারপর সে হিজবুল জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হয়ে যায় । সেনা অনেকদিন ধরে এই আতঙ্কবাদীকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। গতকাল সেনা মান্নান বানীর খোঁজ পাওয়ার পর অপেরাশন চালিয়ে হত্যা করে।
সেনা, মান্নান বানীকে মেরে ফেলার পর দেশের সমস্থ কট্টরপন্থী ও হুরিয়তরা খুবই ক্ষোপ প্রকাশ করেছে। কিন্তু যেটা কেউ ভাবতে পারিনি সেটাও আজ হয়ে গেল। মান্নান বানীর মৃত্যুতে মেহেবুবা মুফতি চোখের জল ফেলেছেন। ভয়ানক আতঙ্কবাদী মান্নান বানীকে নেত্রী মেহেবুবা মুফতি কাশ্মীরের সুপুত্র বলে প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় সেনা বলিদানি হলে কখনো দুঃখপ্রকাশ না করলেও, মেহেবুবা মুফতি কাশ্মীরের এই আতঙ্কবাদীর জন্য চোখের জল ভাসিয়ে দিয়েছেন।

মেহেবুবা মুফতি বলেন, সেনা মান্নান বাণীকে মেরে ফেলেছে যেটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পুরো কাশ্মীরের জন্য এটা দুঃখকজনক ঘটনা ও কাশ্মীরে ক্ষতি বলে দাবি করেছেন মেহেবুবা মুফতি। জানিয়ে দি, মেহেবুবা মুফতি কোনো সাধারণ নাগরিক নন বরং দেশের এক রাজ্যের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী। মেহেবুবা মুফতি তার কথার মাধ্যমে সরাসরি নিজের আতঙ্কবাদী সংযোগকে প্রকাশ করেছেন।
গো মাতার রক্ষার কথা বললে মিডিয়া হিন্দুদের গেরুয়া আতঙ্কবাদ বলে ঘিরে ফেলতে শুরু করে কিন্তু এখন যখন একজন পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী এমন দেশদ্রোহী মন্তব্য করেছেন তখন সমস্থ মিডিয়া নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে। অবশ্য দেশের মূল স্ট্রিম মিডিয়া কেন এই ধরণের কাজ করে তাও এখন সবার কাছে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। কিছু মিডিয়ার ফান্ডিং কোথায় থেকে আসে এবং কি ধরণের এজেন্ডা চালানোর জন্য আসে তা জনতার সামনে আসতে শুরু করে দিয়েছে।