মোদী সরকার নির্নয় নিয়ে ফেলেছে যে এবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো ঘটনা হবে না। এবার পাকিস্থানের সাথে যা করা হবে সেটা ঐতিহাসিক হবে। আর এর জন্য মোদী সরকার রূপরেখা ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করার কাজ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে দিয়েছে। প্রথমে পাকিস্থানের থেকে MFN এর মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর কাশ্মীরের হুরীয়ত ও বিচ্ছিন্নবাদী নেতাদের সুরক্ষা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে মিটিং সেরে ফেলা হয়েছে। আজ ভারত আমেরিকার NSA এর সাথেও কথা বলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে সাফল্য লাভ করেছে। আমেরিকাও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যে ভারত যদি কোনো কার্যবাহী করে তবে তারা ভারতের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে এগিয়ে আসবে না তথা ভারতকে সমর্থন জানাবে।
রুশ, ইজরায়েল, জাপান, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইতালি, জার্মান, ব্রিটেনের মতো প্রভাবশালী দেশের সমর্থন ভারত নিয়ে নিয়েছে। শুধু এই নয়, মোদী সরকার বিশ্বের মুসলিম দেশগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে দিয়েছে। যার প্রভাব দেখা দিতে শুরু হয়েছে।
ভিখারী পাকিস্থানকে সবদিক থেকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সৌদি আরবের ব্যাবসায়ীরা এক প্রতিনিধি মন্ডল বানিয়ে ১৭ তারিখ পাকিস্থান আসবে বলে জানিয়ে ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সরকার চাপ সৃষ্টির পর সেই যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ সৌদি আরবের ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি মন্ডল পাকিস্থানের যাত্রা বয়কট করে দিয়েছে। অবস্থা এমন যে, পাকিস্থানের সরকার এখন নিজের জনগণকে জবাব দিতে পারছে না কেন সৌদি আরব তাদের যাত্রা বাতিল করেছে।
পাকিস্তান সামিটে আসা পাক ব্যাবসায়ীদের চিঠি লিখে বলেছে যে অজ্ঞাত কারণে এই সামিট বাতিল হয়েছে। পাকিস্থান সরকার পাক ব্যাবসায়ীদের চিঠিতে লিখেছে যে অজানা ও অজ্ঞাত কারণে সামিট স্থগিত হয়েছে তাই এবার ১৭ ফেব্রুয়ারি কোনো সামিট হইবে না। চিঠির ছবি ওপরে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্থানে যাওয়া জলের প্রবাহকেও আটকানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কাশ্মীরে বেশকিছু কার্যবাহী চলছে কিন্তু সেই সমস্ত খবর আমাদের কাছে থাকলেও সার্বজনিক করা যাচ্ছে না।
নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করে দিয়েছেন যে এবার আতঙ্কবাদী ও তাদের আঁকাকে(পাকিস্থান) ভুগতে হবে। সেই কাজ এখন উপযুক্ত পরিকল্পনার সাথে শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী পাকিস্থানকে ও আতঙ্কবাদীদেরকে ঐতিহাসিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে।