অসমে কিছু দিন আগে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে থেকে বাদ গিয়েছিল ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবার নাগরিক পঞ্জি আপডেটের কাজ কে সাপোর্ট করলেন। অরুন জেটলি তার যুক্তিতে বলেন যে, অসমে যে হারে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাদের বৃদ্ধির হার। বেশ কিছু মাস ধরে অসম বাসীরা অভিযোগ করেন যে, তাদের রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী দের পরিমান খুব বেড়ে গেছে। তার জেরেই তাঁদের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলে তাদের দাবি। এরপরই অসমবাসীদের সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্র সরকার NRC তৈরি করেছেন।
সেই NRC তালিকা প্রকাশ করা হয় সোমবার। সেই তালিকায় নাম নেই ৪০ লক্ষ মানুষের। তাই কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে যাদের নাম সেই তালিকাতে নেই তাদের কে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে নাহলে তাদের কে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে ঘোষনা করা হবে। জেটলি তার একটি পরিসংখ্যানে লিখেছেন যে, ১৯৬১ – ২০১১ সাল পর্যন্ত অসমে মাত্র ২.৪ গুণ বেড়েছে হিন্দুদের জনসংখ্যা। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩.৯ গুণ। তিনি আরও জানিয়েছেন যে এর ফলে বিপুলভাবে প্রভাবিত হচ্ছে অসমের জনবিন্যাস।
তিনি তার ব্লগে লিখেন যে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে মেনে নেওয়া হয়েছে যে অসমে এই কয়েক মাসে এত অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ করেছে যে সেই রাজ্যের কয়েকটি জেলাতে এখন মুসলিমরা সংখ্যাগুরু হয়ে উঠেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে পরে এই সব জেলাগুলিকে বাংলাদেশে সামিল করার দাবি উঠতে পারে সেই সব
অনুপ্রবেশকারীদের তরফে। এব্যাপারে তিনি অসমের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নামও উল্লেখ করেছেন।
তিনি দাবি করেছেন যে এই ব্যাপারে অসমের সাথেই পাল্লা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। তাদের রাজ্যেও প্রচুর পরিমানে অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাসের পরিবর্তন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গতেও। ফলে সব দিক দিয়ে বিচার করে বলা হচ্ছে যে অসমে মুসলিম জনংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ, যেখানে হিন্দুদের বেড়েছে মাত্র ৮০.৯ শতাংশ।
#অগ্নিপুত্র