প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তলন করবেন। যদিও এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হতো কারণ সেটা সংবিধান সম্মত। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন ইতিহাস তৈরী করতে চলেছেন যার মাধ্যমে মহাপুরুষদের নতুনভাবে সন্মান জানানো হবে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের ফেসবুক পেজে একটা ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেখানে মোদীজি জানিয়েছিলেন উনি এই ২১ শে অক্টোবর লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। ভিডিওতে উনি আরো বলেন, সুভাষচন্দ্র বোস দেশের স্বাধীনতার জন্য আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব করেছিলেন।
আরো পড়ুন – তালিব হোসেন কাঠুয়ার মেয়েটিকে রেপ করে মন্দিরের পাশে ফেলেছিল ? সিরিয়াল রেপিস্ট তালিব হুসেন
সেই সময় ২১ শে অক্টোবর আজাদ হিন্দ ফৌজ দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে ২১ শে অক্টোবর স্বাধীনতা দিবস পালন করেছিল। ২১ শে অক্টোবর ২০১৮ তে এই ঐতিহাসিক দিনের ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই উপলক্ষেই প্রধানমন্ত্রী মোদী লালকেল্লার প্রাচীর থেকে আজ দেশের পতাকা উত্তোলন করবেন। মোদীজি বলেন যদি কোনো সমাজ নিজের ইতিহাস থেকে থেকে কেটে আলাদা হয়ে যায় তাহলে সেই সমাজের কেটে পড়া পতাকা মতো মাটিতে ঠাঁই হওয়া নিশ্চিত হয়।
আমরা সকলের সন্মান করি যারা দেশের সেবা করেছে। তাতে যিনি যে দলের হোক না কেন আমরা সন্মান করি। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আমাদের সরকার বাবা সাহেব আম্বেদকরের পঞ্চতীর্থের উপর কাজ করেছে। ১৮৫৭ সালে দেশের আদিবাসী ভাইরা অনেক বড়ো যোগদান দিয়েছিল। ভগবান বিরসা মুন্ডাকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আমরা ঠিক করেছি দেশের যে সকল অংশে অধিবাসী সমাজ রয়েছে সেখানে মিউজিয়াম তৈরি করা হবে।
আরো পড়ুন – মুসলিম, খ্রিষ্টান মেয়েরা অপবিত্র করছে সবরিমালা মন্দির ! বামপন্থী সরকার দিচ্ছে সুরক্ষা ..।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন ২১ শে অক্টোবর সৌভাগ্যপূর্ন দিনে জাতীয় পতাকা উত্তলনে উপস্থিত থাকতে পেরে খুব খুশি অনুভব করবেন। জানিয়ে দি আমাদের দেশের ইতিহাস কয়েকটি বিশেষ নির্বাচিত বামপন্থী ও কংগ্রেসের দালাল ইতিহাসকারদের দ্বারা রচিত হয়েছে যার জন্য সুভাষচন্দ্র বসুর ইতিহাসকে পাঠ্যবয়ের এক পাতার মধ্যে সমাপ্ত করে, দেশভঙ্গকারীদের ইতিহাস পুরো বইতে পোড়ানো হয়। কিন্তু এখন মোদী যুগে পুনরায় দেশভক্ত মহাপুরুষদেরর প্রাপ্ত সন্মান ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এবার পুরো দেশ জানবে যে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ভারতমাতার সুপুত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস।