যেকোনো মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ শুধুমাত্র একটা আদেশে থেকে যায় না বরং সেটা একটা আইনে পরিণত হয়। কোনো মামলায় আসা রায়কে অন্য মামলায় যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়। বিগত দিনে সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু মন্দির সবরিমালার নিজস্ব নিয়ম ভেঙে দিয়ে সেখানে মহিলাদের অধিকার দিয়েছে। মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার পর আদালত বলেছে, কোনো ধার্মিকস্থলে আপনি মহিলা ও পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ করতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্ট যেইমাত্র সবরিমালা মন্দির নিয়ে রায় দিয়েছে সেইমাত্র বিষয়টি আরো ভালোভাবে চর্চায় চলে আসে। যারপর মসজিদেও মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে।
কোর্ট যখন সবরিমালার উপর রায় দিয়েছিল তখন বামপন্থী ও তোষণকারী দলগুলি কট্টরপন্থিদের সাথে মিলে বেশ আনন্দ প্রকাশ করেছিল। কারণ সবরিমালার মন্দিরের বহু পুরানো নিয়মকে ভঙ্গ করা হয়েছিল। তবে এবার কট্টরপন্থী থেকে বামপন্থী সকলেই ফাঁসতে শুরু করেছে। কারণ সুন্নি মুসলিমদের এক সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিধান্ত নিয়েছে এবং মুসলিম মহিলাদের সমস্থ মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে হবে।
নিসা নামের এক সুন্নি মুসলিম সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট যাওয়ার সিধান্ত নিয়েছে। এই সংগঠন আদালতে দাবি করবে মসজিদে যেন মুসলিম মহিলাদের সমান অধিকার দিতে হবে। সবরিমালার মন্দিরের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ৫ জাজের বেঞ্চ জানিয়েছিল কোনো ধার্মিক স্থানে মহিলা ও পুরুষের মধ্যে বিভেদ করা যাবে না।
খবর অনুযায়ী এখন সেই রায়কে যুক্তি করে সুন্নি মুসলিম সংগঠন আদালতে যাবে। আর যেহেতু মসজিদও একটা ধার্মিক স্থল তাই এর উপরও কোর্টকে সবরিমালার মতোই রায় দিতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সবরিমালার সিধান্ত এর পর যে বামপন্থী ও কট্টরপন্থীরা হাসাহাসি করছিল তারাই এখন মুখ ভার করতে শুরু করেছে।