হিন্দুদের রক্ষার জন্যেই বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে পশ্চিমবঙ্গকে তৈরি করা হয়েছিল। আজ পশ্চিমবঙ্গ যদি বাংলাদেশের অন্তর্গত হতো তাহলে এই রাজ্যের হিন্দুদের অবস্থা বাংলাদেশের হিন্দুদের মতোই হতো। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ও RSS এর কারণেই আজ হিন্দু বাঙালির অস্থিত টিকে রয়েছে নতুবা কট্টরপন্থীদের হাতে বাঙালি হিন্দু শেষ হয়ে যেত। যদিও পশ্চিমবঙ্গ তৈরির ইতিহাস বর্তমানের বেশিরভাগ বাঙালি জানে না। কারণ বামপন্থীরা ইতিহাস পাঠ্যবইতে পাকিস্থান তৈরিই ইতিহাস যোগ করলেও, বাঙালি হিন্দুদের তথাকথিত ধর্মনিরিপেক্ষ তৈরি করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ তৈরির ইতিহাস যোগ করেনি। এবার সেই আরএসএস পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের কথা ভেবে দাবি জানালো অসমের মতো করে এবার এনআরসি করা হোক পশ্চিমবঙ্গেও। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এই রাজ্যের হিন্দুদের কথা ভেবে বাঙালি হিন্দুদের বাঁচানোর জন্য নাগরিক পঞ্জীকরণের কথাই বলেন। জিষ্ণু বসু যিনি আরএসএসের পশ্চিমবঙ্গের সেক্রেটারি তিনি মঙ্গলবার জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারেই তিনি এমনটাই দাবি করেন।
এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, “বাংলাদেশি মুসলিমরা যেভাবে দিনের পর দিন পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করছে তাতে এখন থেকেই অনেক জেলায় সংখ্যা লঘু হয়ে পড়েছেন হিন্দুরা। এদিনের এই বিশেষ সাক্ষাৎকারে জিষ্ণু বসু বলেন যে, একমাত্র এনআরসি-ই মাধ্যমেই পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের অবলুপ্তির হাত থেকে বাচানো সম্ভব। এছাড়াও এই দিন তিনি আরও বলেন যে, বিভিন্ন ভাবে এই কয়েক বছরে ভৌগলিক দিক দিয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে রাজ্য গুলির, তাই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বেড়ে গিয়েছে।
এখনই যদি এন.আর.সি(NRC) না করা হয় তাহলে হিন্দুদের বাড়ি ছাড়া হতে আর বেশি দিন লাগবে না। নিজের দেশেই বাঙালি হিন্দুদের শরণার্থী হয়ে থাকতে হবে। তিনি মনে করেন যে, এর ফলে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীরা বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ড বিলের সাহায্যে তাদের উপকার হবে। অপর দিকে অনেক বিপজ্জনক লোক এই রাজ্যে অনুপ্রবেশ করে বসবাস করছে এন.আর.সি করা হলে তাদেরকে চিহ্নিত করে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে।
শুধু এখানেই থেমে যান নি, তিনি এই দিন মনে করিয়ে দেন খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কান্ডের কথা। তিনি বলেন যে, যেসমস্ত জেলা গুলি সীমান্তবর্তী এলাকাভুক্ত সেই খানেই হচ্ছে অসামাজিক কাজকর্ম। তিনি আরও জানান যে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে গিয়ে গিয়ে আরএসএস সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছেন এবং সতর্ক করে দিচ্ছেন এই ব্যাপারে। এর জন্য আরএসএস কতগুলি ছোটো ছোটো দল তৈরী করে দিয়েছে, তাদের কেই এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জিষ্ণু বসু জানান যে, আরএসএস হল একটি সামাজিক সংগঠন। আরএসএস এর কাজ দেশের সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করা তাদের বিপদে পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। এবং যেসমস্ত এলাকাগুলিতে এইরকম কাজকর্ম হবে সেখানে গিয়ে মানুষকে সচেতন করা। এবং তারা যাতে সরকারি ভাবে সমস্তরকম সহায়তা পায় সেই বিষয় গুলি তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া।
#অগ্নিপুত্র