ভারত বিশ্বের সবথেকে উর্বর এবং প্রতিভাশালী দেশ এই কারণে যুগ যুগ ধরে ভারতের উপর বিদেশী শক্তির নজর রয়েছে। এই কারণে সময় সময়ে ভারত মায়ের মহান সুপুত্ররা বলিদান দিয়ে দেশকে রক্ষা করে। অনেক বলিদানীকে আমরা জানতে পারি, চিনতে পারি, আবার অনেক এমন আছে যাদের পরিচয় আমরা কখনোই জানতে পারি না। এমন অনেকজন থাকেন যারা দেশের জন্য নীরবে নিজের উৎসর্গ করে দেন। আজ আমরা এমন দুই মহান ব্যাক্তির সম্পর্কে জানাবো যারা দেশের বাইরে থেকে দেশের বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রগুলিকে বিফল করতেন। এই দুজনের মধ্যে একজন এখন ভারতে থেকে সেবা দিচ্ছেন আর অন্যজন আর ফিরে আসতে পারেননি।
রবীন্দ্র কৌশিক- এই মহান দেশভক্ত রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইনার পিতা এয়ার ফোর্সে ছিলেন আর ইনি অভিনয় করতে খুব ভালোবাসতেন। একবার RAW এর চীফ ইনার পারফরম্যান্স দেখার পর ইনাকে পাকিস্তানে গোয়েন্দা সেজে যাওয়া প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রবীন্দ্র কৌশিক প্রস্তাব শোনা মাত্র হ্যাঁ বলে দেন, কারণ দেশ সেবার থেকে পুণ্যের কাজ কিছু হতে পারে না। দেশে ২ বছর ট্রেনিং এর পর, পাকিস্তানে গিয়ে সেখানে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য পাক আর্মিতে যোগদান করেন। পাকিস্তানে এক মেয়ের সাথে বিয়েও সেরে ফেলেন রবীন্দ্র কৌশিক। সাহসের জন্য ইনি মানুষের কাছে ব্ল্যাক টাইগার নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। ভারতে নানা ইস্যুতে তথ্য প্রেরণ করে সেবা প্রদান করতেন রবীন্দ্র কৌশিক। কিন্তু একবার অন্য এক গোয়েন্দা ধরা পড়ার পর সে রবীন্দ্র কৌশিকের নাম প্রকাশ করে দেয়। সেই সময়ের সরকার ইনাকে কোন সাহায্যও করেনি। যার জন্য পাকিস্তানের জেলের মধ্যে এক দেশভক্ত ২০০১ সালে নিজের বলিদান দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে ভারত সরকার রবীন্দ্র কৌশিকের শবদেহ নিতেও অস্বীকার করেছিল।
অজিত কুমার দোভাল- জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এখনও পাকিস্তান অজিত দোভালের নাম শুনলে ভয়ে কেঁপে উঠে। দোভাল ৭ বছর পাকিস্তানে গোয়েন্দা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। সেখানে উনি মুসলিম সেজে থাকতেন এবং ভারতের বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রগুলিকে বিফল করতেন। একবার তো এক পাকিস্তানি বুঝতে পেরেছিলেন যে অজিত দোভাল হিন্দু। কিন্তু সেই সময় তিনি নিজের বুদ্ধিমত্তার জন্য পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে করে ফেলেছিলেন। এখনও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কয়েকটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে প্রত্যেকটিতে উনার অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।