দেশের আসল বউমা কে ছিলেন? ঘটনা ১৯৪৭ সালের আগে, এই কাহিনী একজন জার্মানি মহিলার যার নাম ছিল এমিলি শেঙ্কল। পাঠকদের মধ্যে কতজন এই মহিলার নাম শুনেছেন জানা নেই। অবশ্য শুনে না থাকলেও আপনার দোষ নয় কারণ, স্কুল কলেজের পাঠ্যবই থেকে এই নাম মুছে ফেলা হয়েছে। শ্রীমতী এমিলি শেঙ্কল ১৯৩৭ সালে ভারত মাতার সবথেকে থেকে প্রিয় পুত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে বিয়ে করে এমন একটা দেশকে শশুরুবাড়ি হিসেবে বেঁছে ছিলেন যে দেশ কখনো তাকে স্বাগত জানাতে পারেনি। না দেশের বউ এর জন্য কেউ মঙ্গলগীত গেয়েছিল না কেউ তার মেয়ের জন্য শুভকামনা চেয়েছিল। সুভাষচন্দ্র বসুর বউ কন্যা কিভাবে জীবন কাটাচ্ছে এ নিয়ে কেউ চর্চা পর্যন্ত করেনি।
৭ বছরের বৈবাহিক জীবনে মাত্র ৩ বছর উনি তার স্বামী সুভাষচন্দ্র বসুর সাথে সময় কাটাতে পেরেছিলেন। এরপর ছোট মেয়ে ও স্ত্রীকে এই কথা দিয়ে উনি বেরিয়ে পড়েন যে আগে ভারত মাতাকে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করেনি তারপর সারাজীবন একসাথে কাটাবো। কিন্তু এমনটা হয়ে উঠেনি, দেশকে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করলেও ভারতমাতার সুপুত্রের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর দেশের ক্ষমতা চলে যায় গিয়াসউদ্দিন গাজীর বংশধর নেহেরুর হাতে।

সেই সময় এমিলি শেঙ্কল এর বয়স খুবই কম ছিল , উনি চাইলে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু উনি এটা করেননি, উনি কড়া সংঘর্ষ করে জীবন কাটান। একটা সামান্য বেতনের ক্লার্কের চাকরি নিয়ে কন্যা সন্তানকে বড়ো করেন। এমিলি শেঙ্কল কাউকে কোনো অভিযোগও করেননি আর কোনো দাবিও করেননি। শুধু চেয়েছিলেন একবারের জন্য এই ভারতবর্ষে আসতে যার জন্য তার স্বামী প্রাণ দিয়েছিলেন। কিন্তু গিয়াসউদ্দিন গাজীর বংশধর গান্ধী/নেহেরু/খান পরিবার এতটাই নীচ মানসিকতার ছিল যে,যে মহিলাকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত তাকে ভারতের ভিসা পর্যন্ত দেয়নি।
যাইহোক অতিকষ্টে জীবন অতিবাহিত করার পর ১৯৯৬ সালে দেশত্যাগ করেন। এমিলি শেঙ্কল এর পুরো নাম ছিল- শ্রীমতী এমিলি শেঙ্কল বসু, যিনি ভারতমাতার সুপুত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ধৰ্মপত্নী ছিলেন। যাকে গান্ধী পরিবার নিজের স্বার্থে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়নি। কারণ গান্ধী/খান পরিবার জানতো যদি এমিলি শেঙ্কল ও তার কন্যা ভারতে আসেন তাহলে ভারতবাসী উনাদের মাথায় তুলে রাখবেন এবং ছুঁড়ে ফেলে দেবেন এই বিস্বাসঘাতকদের। আজ গান্ধী/নেহেরু পরিবার এমিলি শেঙ্কল বসুকে ইতিহাস থেকে ভুলিয়ে দিয়ে আন্তোনিয়া মিয়ানো অর্থাৎ সোনিয়া গান্ধীকে দেশের বউ বলে দাবি করে।

আজও প্রত্যেক দেশভক্ত রাষ্ট্রবাদী ভারতীর চোখে জল আসে যখন তারা ভাবে যে একটি পরিবারের জন্য ভারতমাতার সুপুত্র সুভাষচন্দ্র বসুর পত্নী ও কন্যাকে তারা ভারতে ঠাঁই দিতে পারেনি। জানিয়ে দি, ভারতের কোনো মিডিয়া আপনাদের এই ব্যাপারে জানাবে না কারণ দেশের বেশিরভাগ মিডিয়া বামপন্থী ও কংগ্রেসের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।
পাঠকদের জন্য প্রশ্নঃ গান্ধী/নেহেরু/খান পরিবার কি ভারতবাসীর সাথে বিশ্বাসঘাতক করেছে?