উনি প্লেনে থাকবে তা জানা ছিল না।দিল্লি থেকে মুম্বাই যাওয়ার সময় উড়োজাহাজে যোগগুরু বাবা রামদেব এর ঠিক পাশের সিটে বসেছিলেন তিনি।সে বছর পাঁচেক আগের কথা।বিমান মাটিতে নামার ঠিক আগের মূহুর্ত পর্যন্ত ফোনে কথা বলছিলেন বাবা রামদেব। ২০১৪ সালের ভোটে কোন আসনে কাকে বিজেপির টিকিট দেওয়া যেতে পারে সেই নিয়ে কথোপকথনের মাধ্যমে অমিত শাহ বাহিনীর সঙ্গে তখন থেকেই গাঢ় সম্পর্ক যোগগুরুর।বাবার এমন মাহাত্ম দেখে আর ইতস্তত করতে পারেননি বাবুল সুপ্রিয়। তৎক্ষণাৎ জবাব দিয়েছিলেন ,প্লিজ আমাকে একটা টিকিট দিন।
হটাৎ এমন প্রস্তাব শুনে শুরুতে হতচকিত হলেও,পরে বাবার আশীর্বাদে বরাত খুলে গেছিলো বাবুলের।বাবা রামদেবের পরামর্শেই চোদ্দোর ভোটে আসানসোল লোকসভায় তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি।জিতে তার ক্ষমতাও প্রমান করে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।আর এবার ঊনিশের ভোটের মাস পাঁচেক আগেই যোগী কে ধরে ফেললেন বাবুল সুপ্রিয়।
ছত্রিশগড়ে বিধান সভা ভোটের প্রচার করতে গিয়ে শনিবার যোগীর সাথে দেখা হয় কেন্দ্রীয় নগরউন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র।আর তখনই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আসানসোলে যোগীর সফরের পাকা কথা সেরে ফেললেন। এমটাই জানা যাচ্ছে একটা সংবাদ মাধ্যম থেকে। এমনিতেই ডিসেম্বর মাসে বাংলায় আসার কথা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যানাথ যোগীর।আগামী মাসে রাজ্যের তিন জায়গা থেকে রথযাত্রা শুরু করতে চলেছে বিজেপি এবং তাতেই যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন যোগী।
তার আগেই বাবুল জানিয়ে দিলেন,”বাংলায় মমতা সরকারের অত্যাচার,পুলিশের জুলুমবাজি নিয়ে যোগীর সাথে কথা হয়েছে।তৈরি থাকো আসানসোলবাসী, স্বয়ং যোগী আসছেন।”রাজ্যের বিজেপি নেতা নেত্রী রা জানাচ্ছেন রথযাত্রার সময় বাংলায় এসে কোথায় কোথায় যাবেন তা এখনো পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়ে উঠেনি।তার আগেভাগেই যোগী কে ধরে কাজ সেরে ফেলতে চাইলেন বাবুল।পরিদশর্নকারী দের মতে,গায়ক বাবুল রাজনীতির আটঘাট অনেকটাই বুঝে নিয়েছেন। এমনিতেই আসানসোল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যোগী আদিত্যানাথের জনপ্রিয়তা প্রচুর ফলে যোগী এলে বিজেপির প্রচার আরো বাড়বে বলে আশাবাদী বাবুল সুপ্রিয়।