এই সময় হিন্দু ধর্মের দেবতা ভগবান শিবের পবিত্র শ্রাবন মাস চলছে। এই সময় দূর দূরান্তের মানুষজন গঙ্গাজল সংগ্রহ করে পায়ে হেঁটে ভোলানাথের মাথায় সেই জল ঢালে। শ্রাবন মাসে চলা এই যাত্রাকে কেন্দ্র করে এখন উত্তরপ্রদেশ জমে উঠেছে। বোম ভোলের জয়জয়কার করে সঙ্গীসাথীদের উৎসাহ বাড়িয়ে কাবাড় নিয়ে এগিয়ে চলেছে শিবভক্তরা। আপনাদের জানিয়ে দি, হরিদ্বার থেকে কাবাড় নিয়ে উত্তরপ্রদেশের অনেক রাজ্যে ভক্তরা পায়ে হেঁটে চলেছে। কাবাড় যাত্রাকে নিয়ে এবার যোগী সরকার যোগী সরকার পুলিশ কর্তৃপক্ষকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে যাতে কাবাড় যাত্রীদের কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখতে।
উত্তরপ্রদেশের অনেক জায়গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেখা গিয়েছে যা দেখে পুরো দেশ শিক্ষা নিতে পারে। মুজাফর নগর এলাকায় বহু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন কাবাড় যাত্রীদের জন্য খাওয়া দাওয়া ও ওষুধআদির ব্যাবস্থা করেছে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ দেখিয়েছে। উল্লেখ, কাবাড় যাত্রার আগে যোগী আদিত্যানাথ ঘোষণা করেছিলেন যে কাবাড় যাত্রার পথে থাকা মদ ও মাংসের দোকান যেন সরিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি কাবাড় যাত্রীদের উপর হেলিকপ্টার থেকে ফুল বর্ষণেরও ব্যাবস্থা করেন যোগী আদিত্যানাথ।
যার জন্য শিবভক্তরা শ্লোগান তৈরি হয়েছে, যোগী তেরে রাজ মে মিল রাহা হ্যায় সন্মান জাহাজ ম্যায়।’ আসলে হেলিকপ্টার থেকে ফুল বর্ষণ করায় দুর্দান্ত রকমের খুশি হয়েছে কাবাড় যাত্রীরা। এডিজি প্রশান্ত কুমার জানান যে কাবাড় যাত্রার উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং হেলিকপ্টার থেকে পুষ্প বর্ষণ করা হচ্ছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে নিয়োজিত করা হয়েছে পুলিশ কর্মী।
শুধু এই নয় অখিলেশের আমলে শিবভক্তদের DJ বাজানোর অনুমতি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যোগী আদিত্যানাথ জানান যে ভক্তরা অবশ্যই DJ বাজাতে পারে এবং ভরপুর আনন্দ করতে পারে। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিশের। এমনকি অখিলেশের আমলে কিছু এলাকা দিয়ে যেতে পারতো না কাবাড় যাত্রীরা , সেই প্রতিবন্ধকতাও সরিয়ে দেন যোগী আদিত্যানাথ।